ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর হাসপাতালে এক গৃহবধূর লাশ রেখে পালিয়ে গেলেন শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
রোববার (১৩ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ওই গৃহবধূর নাম জিয়াসমিন আক্তার (২৪)। সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ভাদুঘর দেওয়ান পাড়া মৃত ইউনুস মিয়ার মেয়ে ও উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামের মুখলেস মিয়ার স্ত্রী।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রাত ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে জিয়াসমিনকে নিয়ে আসেন তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মুমূর্ষু অবস্থায় আনার পরে তাকে ইসিজি করা হয়। চিকিৎসক তার মৃত্যুর বিষয়টি জানানোর সাথে সাথেই তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন গৃহবধূর লাশ রেখে পালিয়ে যায়।
নিহতের পরিবারের লোকজন জানান, গত ১৫ বছর আগে জিয়াসমিনের সাথে মুখলেসের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। মুখলেস একজন মাদকসেবি প্রায়ই সময় মাদকের টাকার জন্য জিয়াসমিনের সাথে ঝগড়া হতো। এসব নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর বনিবনা ভাল ছিলনা। এসব নিয়ে জিয়াসমিন স্বামীর সাথে অভিমান করে কেঁরির ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেন।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কেঁরি ট্যাবলেট খেয়ে গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। গৃহবধূর মৃত্যুর সংবাদ শুনে রোগীর সাথে আসা আত্মীয়-স্বজনরা দ্রুত পালিয়ে যায়। লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
এনআই