এইমাত্র
  • হাদিকে গুলি করা অভিযুক্ত মাসুদের ভারতে গিয়ে সেলফি
  • ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় আরও ২ জন আটক
  • প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় উপদেষ্টার দপ্তরের নির্দেশে তদন্ত শুরু
  • সাবেক বিচারপতি মেজবাহ উদ্দিন মারা গেছেন
  • বাসভবন-কার্যালয় প্রস্তুত, সিলেট হয়ে ঢাকায় ফিরবেন তারেক রহমান
  • ফটিকছড়িতে অবাধে কাটা হচ্ছে পাহাড়-টিলা-কৃষি জমি, হুমকিতে পরিবেশ
  • আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
  • মেসি-শচীনের ঐতিহাসিক সাক্ষাৎ, উপহার বিনিময়
  • ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় মামলা
  • হাবিবুরসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক শুরু আজ
  • আজ সোমবার, ১ পৌষ, ১৪৩২ | ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    শিক্ষাঙ্গন

    কুয়েটে শিক্ষার্থী বহিষ্কারের প্রতিবাদে ইবিতে সমাবেশ 

    যায়িদ বিন ফিরোজ, ইবি প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩২ পিএম
    যায়িদ বিন ফিরোজ, ইবি প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩২ পিএম

    কুয়েটে শিক্ষার্থী বহিষ্কারের প্রতিবাদে ইবিতে সমাবেশ 

    যায়িদ বিন ফিরোজ, ইবি প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩২ পিএম

    খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয়দের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করায় এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

    মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলা প্রাঙ্গণে সমবেত হয় শিক্ষার্থীরা। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, ইয়াশিরুল কবীর, গোলাম রাব্বানী ছাড়াও প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

    সমাবেশে বক্তারা বলেন, কুয়েট শিক্ষার্থীদের উপর অন্যায়ভাবে প্রশাসন প্রহসন চালাচ্ছে। ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারী কোন নিরপরাধ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত কোনক্রমেই কাম্য নয়। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা কুয়েটের শিক্ষার্থীদের পাশে আছি।

    সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, বিগত ১৬ বছরে শেখ হাসিনা লালিত-পালিত ভিসিরা যে কাজটি করার সাহস করেনি কুয়েট উপাচার্য সেই কাজটি করেছেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পুরো বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির পাশে আছে। কুয়েট ভিসির প্রথম গুরুত্ব দেওয়ার কথা ছিল শিক্ষার্থীদের কিন্তু তিনি একটি পক্ষকে সবসময় সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন, পক্ষপাতিত্ব করেছেন। তিনি সরাসরি তার শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। ইতোমধ্যে তিনি তার পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে কুয়েট ভিসিকে সরিয়ে দেওয়া হোক কারণ যিনি ছাত্রদের অধিকার সংরক্ষণ করতে পারেন না তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদেও থাকতে পারেন না।

    উল্লেখ্য, গত ১৪ এপ্রিল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ১০১তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারী কুয়েট শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পাশাপাশি আগামী ২ মে আবাসিক হলগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়ার এবং ৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক মানুষ আহত হন। পরদিন প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। ওই দিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

    এসআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…