টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আসামির বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে উপজলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের গায়রাবেতিল এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, গায়রাবেতিল গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে নাঈম হোসেন (২৫), একই গ্রামের মৃত রক্ষার ছেলে সবুজ (৫০) এবং মৃত ঝইড়ার ছেলে বাবুল (৪০)। মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত শুক্রবার বাঁশতৈল ইউনিয়নের সোনালিয়া গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের কলা বাগানে তারই চাচা আকবর আলীর ছাগল যাওয়াকে কেন্দ্র করে দুইজনের মধ্যে বাকবিত-া হয়। বাকবিত-ার একপর্যায়ে হামলার শিকার হন আকবর আলী (৬৫)। মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শনিবার ওই ঘটনায় গিয়াস উদ্দিনসহ ৫ জনের নামে মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের হয় এবং ওই রাতেই দুইজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক রাশেদুজ্জামান।
সোমবার বিকেলে বাঁশতৈল ইউনিয়নের সোনালিয়া চকবাজার গ্রামে গিয়াস উদ্দিনসহ জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। মানববন্ধন শেষে উত্তেজিত জনতার একটি অংশ গিয়াস উদ্দিনের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। অগ্নিসংযোগের সময় ওই বাড়ির নারী ও কয়েকজন শিশু অবস্থান করছিলেন। তবে তারা নিরাপদ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
বিক্ষুব্ধ জনতার আগুনে গিয়াস উদ্দিনের বাড়ির ৪টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ, সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা রাতেই ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনেন। এই ঘটনার সোমবার রাতেই গিয়াস উদ্দিনের পুত্রবধু জাকিয়া আক্তার বাদী হয়ে অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে আসামী করে মির্জাপুর থানায় মামা করেন। মামলা দায়েরের পর রাতেই পুলিশ গায়রাবেতিল থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
মির্জাপুর থানার ওসি মোশারফ হোসেন বলেন, বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এমআর