বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) ছাত্রলীগ নেত্রী টিকলী শরীফসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে তাদের থানায় নিয়ে যায়। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তারা বন্দর থানার হেফাজতে রয়েছে।
আটক টিকলী শরীফ খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের উপ-ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তিনি বর্তমানে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে পরিচিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সোনিয়া খান সনি বিষয়টি সময়ের কন্ঠস্বরকে নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থীর দাবি, টিকলী শরীফ পূর্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন। তবে বাকি দুইজন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মিনহাজুল ইসলাম বলেন, “নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেত্রী একটি গোপন বৈঠক করছিলেন। সহপাঠীরা বিষয়টি জানালে আমি সেখানে যাই এবং পরে পুলিশে দেওয়া হয়।”
ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই, তাই সুনির্দিষ্টভাবে বলা কঠিন। তবে টিকলী শরীফ ছাড়াও আটক তিনজনের একজন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
ছাত্রদলের সাবেক সদস্য মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ও আওয়ামী দোসররা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করতে পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের দুর্বলতা ও উদাসীনতাই ছাত্রলীগের এমন কর্মকাণ্ডে উৎসাহ জোগাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, তবে ছাত্রদল সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
বরিশাল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, “ছাত্রদের মাধ্যমে আটকের খবর পেয়েছি। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের থানায় নিয়ে আসে। বিস্তারিত যাচাই করা হচ্ছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সোনিয়া খান সনি বলেন, কিছু শিক্ষার্থীর কাছ থেকে খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। পরে পুলিশ এসে আটক তিনজনকে থানায় নিয়ে যায়।
এনআই