মাদারীপুরে আলোচিত চার খুনের ঘটনায় অন্যতম আসামি জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহজাহান খানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় তাঁর সহযোগী সায়েদ মোল্লাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় র্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
গ্রেপ্তার শাহজাহান খান (৪৫) মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের টেকেরহাট এলাকার মৃত ইসমাইল খানের ছেলে। তিনি জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। তার সহযোগি সায়েদ মোল্লা (৩৫) একই এলাকার মৃত হাসেম মোল্লার ছেলে।
সোমবার রাতে রাজধানী ঢাকার হাতিরঝিল এলাকা থেকে শাহজাহান ও মঙ্গলবার সকালে ঢাকার বাড্ডা এলাকা থেকে সায়েদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের সূত্র জানায়, খোয়াজপুরে কীর্তিনাশা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিলেন ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল সরদার। এ নিয়ে প্রতিবেশী জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহজাহান খান ও বালু ব্যবসায়ী হোসেন সরদারের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এর জের ধরে ৮ মার্চ শাহজাহান খান ও হোসেন সরদারের নেতৃত্বে তাঁর লোকজন সাইফুল ও তাঁর ভাইদের কুপিয়ে হত্যা করেন।
এ ঘটনার এক দিন পরেই সাইফুল ও আতাউর সরদারের মা সুফিয়া বেগম বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় শুরু থেকেই ধরাছোঁয়ার বাইরে মূল অভিযুক্ত কৃষক দলের নেতা শাহজাহান খান। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে তিনি রাজধানী ঢাকার হাতিরঝিল এলাকায় অবস্থান করছেন। পরে র্যাব-৮ ও র্যাব-৩ যৌথ অভিযান চালিয়ে আসামি শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করে। পরে পৃথক অভিযানে তার সহযোগি সায়েদ মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পে কোম্পানী কমান্ডার মীর মনির হোসেন বলেন, চার খুনের ঘটনায় অন্যতম আসামি শাহজাহান দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। তাকে ধরতে র্যাব শুরু থেকেই তৎপর ছিলেন। সবশেষ তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় শাহজাহান ও তার সহযোগি সায়েদ খানকে গ্রেপ্তার করতে স্বক্ষম হয়েছে র্যাব। আসামিদের পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ডিএমপি’র হাতিরঝিল থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। র্যাব-৮ এর এ ধরনের কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
এনআই