জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ট্রাকের ধাক্কায় ইট ভর্তি ট্যাপে ট্রাক্টর থেকে ছিটকে পড়ে চাকায় পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারালো জিহাদ মিয়া (১০) নামে তৃতীয় শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী এবং আবুল কাশেম নামে একজন গুরুতর আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক ট্রাক চালকে করে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের ভাটারা-মাদারগঞ্জ রোডের লিচু তলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন সরিষাবাড়ী থানার ওসি মো. চাঁদ মিয়া।
নিহত শিশু উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের মহাদান পশ্চিমপাড়া গ্রামের কদম আলীর ছোট ছেলে এবং আহত ব্যক্তি ভাটারা কুটুরিয়া গ্রামের আজিজুর হকের ছেলে আবুল কাশেম (২০)।
নিহতে পরিবার ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, নিহত শিশু সানাকৈর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী। সোমবার সকালে শিশু জিহাদ তানিম বিকস্ ইট ভাটায় যায়। পরে কিছু টাকার বিনিময়ে গাড়ি চালক সজিব মিয়ার সাথে ইট বোঝাই (ট্যাপে ট্রাক্টর) গাড়িতে মাদারগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। গাড়ি থেকে ইট নামানোর জন্য সহযোগী হিসেবে সাথে কাশেম ও শিশু জিহাদ যায়।
ইট ভর্তি গাড়িটি যখন ভাটার বাজার থেকে মাদারগঞ্জ রোডের লিচুতলা পর্যন্ত পৌঁছে ঠিক সেই সময় পেছন থেকে ঘাতক ট্রাক এসে ধাক্কায় দেয় ট্রাক্টর (কাঁকড়া) গাড়িটিকে। এসময় গাড়িতে থাকা শিশু জিহাদ ছিটকে পড়ে দুই গাড়ির মাঝখানে পড়ে যায়। পরে গাড়ির চাকায় পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় জিহাদ। এতে আবুল কাশেম গুরুতর আহত হয়ে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। পরে সংবাদ পেয়ে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার ও ট্রাক চালক রবিউল ইসলাম সাগরকে আটক করে পুলিশ।
নিহতে মা ফুলেজা বেগম বলেন, ‘ছেলেটি স্কুলে যেতে চাইতো না। ভোর বেলায় ঘুম থেকে উঠেই ইট ভাটায় চলে যায়। ইট ভাটার গাড়ি চালকেদের সাথে ঘুরে ২০/৫০টা টাকা পায়। সেটা দিয়ে সব সময় সদাই খেতো। গাড়ির সাথে ঘুরে ঘুরে আজ ছেলেটা দুনিয়া থেকেই চলে গেলো।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার (ওসি) মো. চাঁদ মিয়া বলেন, সংবাদ পেয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রাক চালক আটক আছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এনআই