চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাতে দুই ম্যাচেই জমজমাট লড়াইয়ের সাক্ষী হয়েছে ফুটবল বিশ্ব। ঘরের মাঠে সর্বোচ্চ লড়াই চালিয়েছে অ্যাস্টন ভিলা ও বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে জয়ও পেয়েছে দুদল। তবে দুই লেগ মিলিয়ে পিছিয়ে থাকায় সেমিফাইনালের টিকিট পাওয়া হলো না তাদের।
সিগনাল ইদুনা পার্কে কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বার্সাকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়েছে ডর্টমুন্ড। তবে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল বার্সা। তাতে পাঁচ মৌসুম পর প্রতিযোগিতাটির সেমিফাইনালে জায়গা করে নিলো কাতালানরা।
অন্যদিকে ভিলা পার্কে ৩-২ ব্যবধানে হারলেও দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে টানা দ্বিতীয়বার সেমিফাইনাল নিশ্চিত করলো পিএসজি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সবশেষ ২০১৮-১৯ মৌসুমে সেমিফাইনাল খেলেছিল বার্সা। এরপর আর কোয়ার্টার ফাইনালের গণ্ডি পেরোতে পারেনি তারা। তবে চলতি মৌসুমে দারুণ ছন্দে আছে তারা। লা লিগার পাশাপাশি ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের লড়াইয়ে শুরু থেকেই দাপট দেখাচ্ছে তারা।
ঘরের মাঠে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ৪-০ ব্যবধানে জিতে আগেই সেমিতে এক পা দিয়ে রেখেছিল তারা। যদিও দ্বিতীয় লেগে আশানুরূপ পারফরম্যান্স করতে পারেনি দল। প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যাচ শুরুর নবম মিনিটেই গোল হজম করে কাতালানরা। বক্সে প্যাসকেল গ্রোবকে ফাউল করে পেনাল্টি উপহার দেন গোলরক্ষক ভয়চেখ শেজনি। সফল স্পটকিকে গোল আদায় করে নেন সেরহো গিরাসি। ২৮তম মিনিটে অবশ্য শেজনিই দলকে গোল হমজ থেকে রক্ষা করেন। পেনাল্টি এরিয়ার সামনে থেকে ম্যাক্সিমিলিয়ান বেইয়ারের হেড রুখে দেন তিনি। তবে ৪৯তম মিনিটে ডর্টমুন্ডের জোড়া হেডের গোল রুখে দেয়া সম্ভব হয়নি তার পক্ষে। কর্নার থেকে আসা ক্রস বাঁ প্রান্ত থেকে হেড নেন বেনসেবাইনি। সেটা গোলবারের সামনে পেয়ে ফের হেডে জালে জড়ান সেরহো।
৫৪তম মিনিটে রামির ভুলে গোল আত্মঘাতী গোল হজম করে ডর্টমুন্ড। ৭৬তম মিনিটে সেরহো গোল করে ডর্টমুন্ডের আশা জাগিয়ে রাখেন। কিন্তু শেজনি ও বার্সার ডিফেন্ডাররা ডর্টমুন্ডকে আর গোলের দেখা পেতে দেয়নি। তাতে ৩-১ ব্যবধানেই শেষ হয় ম্যাচ। দ্বিতীয় লেগে হারলেও দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শেষ চারের টিকিট নিশ্চিত করে বার্সা।
প্রতিযোগিতার আরেক ম্যাচে লড়াইটা অবশ্য একপেশে হয়নি। ঘরের মাঠে ২৭ মিনিটের মধ্যে জোড়া গোলে পিছিয়ে পড়ার পর লড়াইয়ে ফেরে অ্যাস্টন ভিলা। প্রথম লেগে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা পিএসজি এদিন ১১তম মিনিটে আশরাফ হাকিমি আর ২৭তম মিনিটে নুনো মেন্ডিসের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল। এরপর লড়াই জমিয়ে তুলে পিএসজিকে ভয় ধরিয়ে দেয় উনাই এমরির শিষ্যরা। ৩৪তম মিনিটে অ্যাস্টনকে প্রথম গোল এনে দেন ইউরি তিয়েলেমান্স। ৫৫তম মিনিটে জন ম্যাকগিন আর ৫৭তম মিনিটে তৃতীয় গোলটি এনে দেন এজরি কোনসা।
তবে জিয়ানলুইজি দোনারুম্মার কল্যাণে আর কোনো গোল হজম করেনি পিএসজি। তাতে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফরাসি ক্লাবটি। সবশেষ আসরেও সেমিফাইনালে খেলেছিল তারা। ২০১৯-২০ মৌসুমের পর ফের ফাইনাল খেলতে পারে কি না, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।
এমআর