টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সাড়ে চার মাসে ৮০ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে উপজেলা প্রশাসন। মাটি ও বালু ব্যবস্থাপনা আইনে ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত এই জরিমানা আদায় করা হয়।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.বি.এম আরিফুল ইসলাম।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মির্জাপুর উপজেলায় বর্ষা মৌসুমে নদী থেকে বালি উত্তোলন এবং শুষ্ক মৌসুমে ফসলি জমি, নদীর কিনার এবং পাহাড়ী লাল মাটি কাটার মহোৎসব চলে। বিষয়গুলো আমলে নিয়ে চলতি শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই উপজেলা প্রশাসন সোচ্চার হয়। অবৈধ মাটি কাটার বিরুদ্ধে প্রশাসন শুরু থেকেই জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে। মাটি ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উপজেলার সর্বত্র বিভিন্ন পয়েন্টে অবৈধ ভাবে মাটি কাটা শুরু করে। উপজেলা প্রশাসনও এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে দিনে এবং রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান করতে থাকেন। করা হয় লাখ লাখ টাকা জরিমানা।
২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.বি.এম আরিফুল ইসলাম এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান একক ও যৌথভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন এসব অবৈধ মাটি কাটার বিরুদ্ধে। এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত এই দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৩৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এসব আদালতে মামলা হয় ৭৪টি এবং জরিমানা আদায় করা হয় ৮০ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এরমধ্যে গত এক সপ্তাহে উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের চাঁনপুর এলাকা থেকে একাধিক অভিযানে ১২ লাখ এবং গেড়াই ইউনিয়নের মীর দেওহাটা এলাকা থেকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান বলেন, প্রশাসন অবৈধ মাটি কাটার বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার। এদের সাথে কোন আপোস নেই। অবৈধ মাটি কাটার বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.বি.এম আরিফুর ইসলাম জানান, অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন শুরু থেকেই জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। সেই লক্ষে প্রতিনিয়ত অভিযান করা হচ্ছে। জনস্বার্থে এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এআই