আজ বুধবার (১৬ই এপ্রিল) বিশ্ব কণ্ঠ দিবস। সারা বিশ্বে প্রতিবারের নেয় এই দিবসটি পালিত হয়। এরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ও পালিত হয়েছে। এই দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য “আপনার কণ্ঠস্বরকে শক্তিশালী করুন” আর প্রত্যেক মানুষের কণ্ঠকে শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখে চিকিৎসার মাধ্যমে একজন স্পিচ এন্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপিস্ট।
আমরা প্রতিদিন কতই না কথা বলি পরিবারে, বন্ধুদের সঙ্গে, কাজের জায়গায়। কিন্তু যদি হঠাৎ কণ্ঠস্বরই বন্ধ হয়ে যায়? তখনই টের পাওয়া যায়, এটা কতটা মূল্যবান। কণ্ঠস্বর শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, এটি আত্মপ্রকাশ, আত্মবিশ্বাস ও পেশাগত সক্ষমতার প্রতীক। অথচ কণ্ঠস্বরের প্রতি আমাদের যত্ন ও সচেতনতা আশঙ্কাজনকভাবে খুবই কম।
গবেষণায় দেখা গেছে, পৃথিবীতে প্রতি ১০ জনে ১ জন কোনো না কোনো সময়ে ভয়েস ডিসঅর্ডারে ভোগেন। পেশাভিত্তিকভাবে, শিক্ষকদের মধ্যে প্রায় ৫৭% এবং কল সেন্টার কর্মীদের ৪৩%এবং সাংবাদিক, বয়েজ আর্টিস্ট, ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের, ইসলামিক বক্তা, হকার,এবং বাসের হেলপারদের নিয়মিত কণ্ঠ সমস্যা হয়ে থাকে এবং এদের কণ্ঠস্বরের সমস্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দীর্ঘস্থায়ী কণ্ঠ বসে যাওয়া, কর্কশতা, গলা ব্যথা, বা স্বর ভেঙে যাওয়া হতে পারে ভোকাল নডিউল,পলিপ্স, এমনকি ল্যারিঞ্জরিয়াল ডিজঅর্ডার, ফাংশনাল বয়েজ ডিসঅর্ডার, কোল্ড ডিসফোনিয়া,এবং এফোনিয়া,ভোকাল কড প্যারালাইসিস -এর লক্ষণ। এসব রোগ নিরাময়ে জন্য স্পিচ ও ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি চিকিৎসা অত্যন্ত কার্যকর। সঠিক কণ্ঠচর্চা, গলার বিশ্রাম, পর্যাপ্ত পানি পান এবং নিয়মিত থেরাপি চিকিৎসার মাধ্যমে অনেকেই হারানো কণ্ঠস্বর পুনরায় ফিরে পেয়েছেন।
স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো: রাকিব হোসেন বলেন, বিশ্ব কণ্ঠ দিবস ২০২৫ আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়—কণ্ঠস্বরের প্রতি অবহেলা নয়, বরং সঠিক যত্ন ও স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে কণ্ঠ সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।
তিনি আরো বলেন, এই দিবসে আমরা প্রতিজ্ঞা করি, পেশাজীবীদের কণ্ঠস্বর রক্ষায় আমরা সচেতন হবো, কন্ঠের সমস্যাকে লুকিয়ে না রেখে, প্রয়োজন বুঝে স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি চিকিৎসা গ্রহণ করে নিজের কণ্ঠকে শক্তিশালী করবো।
এসআর