চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে প্রতারণার মাধ্যমে নিজ পরিবারের পাঁচজনের নামে নিয়মিত ভাতা তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে নারী ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা ইউপি সদস্য মাকসুদা বেগম তার নিজের নামসহ স্বামী আব্দুল করিম, দুই মেয়ে মাসুমা আক্তার, তাসলিমা আক্তার, ছেলে মাসুম বিল্লাহর তারা সকলই সুস্থ-সবল মানুষ। প্রতিবন্ধী ভাতার তালিকায় তাদের নাম পাওয়া যায় তাদের কেউ প্রতিবন্ধী না।
স্থানীয়রা জানান, ইউপি সদস্য মাকসুদার পরিবারের ৫ সদস্যর মধ্যে কেউই প্রতিবন্ধী না। সবাই সুস্থ-সবল মানুষ । একজন মেম্বার হয়ে সরকারের সাথে প্রতারণা করেছে এর বিচার হওয়া দরকার। এতে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রকৃত প্রতিবন্ধীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইউপি সদস্য মাকসুদা বেগম নিজে হাসপাতাল ও সমাজসেবা অফিসের বিশেষ একটা চক্রকে ম্যানেজ করে জালিয়াতির মাধ্যমে সুস্থ মানুষদের নামে প্রতিবন্ধী মেডিকেল সনদ সংগ্রহ করেন। পরে সমাজসেবা অফিস থেকে প্রতিবন্ধী পরিচয়পত্র নিয়ে তাদেরকে প্রতিবন্ধী ভাতার তালিকায় নিয়ে আসেন।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মাকসুদা বেগমসহ ৫ জন সদস্য কিভাবে প্রতিবন্ধী ভাতার তালিকায় নাম আসলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অনেক দূরে আছি, কাজে ব্যস্ত আছি। আপনার সাথে পরে কথা বলছি।
শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, আমি আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জানলাম সমাজসেবা অফিসার এবং ইউএনও মহোদয়ের সাথে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন বলেন, অনিয়ম হয়ে থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শিবগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন প্রতিবন্ধী মেডিকেল সনদ ও ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতিবন্ধী যাচাই-বাছাই কমিটির মাধ্যমে তালিকা আমাদের কাছে জমা দেয়া হয়। আমরা শুধু এটা বাস্তবায়ন করি। যদি কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাহার আলী বলেন, একজন ইউপি সদস্য হয়ে এইরকম কোন অনিয়মের সাথে জড়িত হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক উম্মে কুলসুম বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। এর আগেও এমনটি ঘটেনি। যদি এমন হয়ে থাকে। তবে প্রথমে ভাতা বন্ধ করা হবে। পরে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসআর