এইমাত্র
  • ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় আরও ২ জন আটক
  • প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় উপদেষ্টার দপ্তরের নির্দেশে তদন্ত শুরু
  • সাবেক বিচারপতি মেজবাহ উদ্দিন মারা গেছেন
  • বাসভবন-কার্যালয় প্রস্তুত, সিলেট হয়ে ঢাকায় ফিরবেন তারেক রহমান
  • ফটিকছড়িতে অবাধে কাটা হচ্ছে পাহাড়-টিলা-কৃষি জমি, হুমকিতে পরিবেশ
  • আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
  • মেসি-শচীনের ঐতিহাসিক সাক্ষাৎ, উপহার বিনিময়
  • ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় মামলা
  • হাবিবুরসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক শুরু আজ
  • বাংলাদেশি শান্তিকর্মীদের ওপর হামলা, সুদানকে সতর্কবার্তা জাতিসংঘের
  • আজ সোমবার, ১ পৌষ, ১৪৩২ | ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    শীলের আঘাতে স্বামীকে হত্যা, ঘাতক স্ত্রী আটক

    উপজেলা করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১৫ পিএম
    উপজেলা করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১৫ পিএম

    শীলের আঘাতে স্বামীকে হত্যা, ঘাতক স্ত্রী আটক

    উপজেলা করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১৫ পিএম

    ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় স্ত্রীর হাতের শীল পুঁতোর (পাটা-পুঁতো) আঘাতে স্বামী ওবায়দুর রহমান মুন্সি (৫৭) নামে এক কৃষকদল নেতার নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ও পুত্রবধূকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

    বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আলফাডাঙ্গা থানার ওসি হারুন অর রশিদ। এর আগে বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আলফাডাঙ্গা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইছাপাশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

    নিহত ওবায়দুর রহমান মুন্সি ওই এলাকার প্রয়াত আব্দুল খালেক মুন্সির (ডক সাহেব) ছেলে ও পৌর কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বলে জানা গেছে।

    পুলিশ ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, ওবায়দুর রহমান মুন্সির সাথে তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ও তার ছেলে এবং পুত্রবধূর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার রাত আড়াইটার দিকে ওবায়দুর রহমান মুন্সির স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন পাটার পাথরের পুঁতো দিয়ে মাথা ও মুখে আঘাত হত্যা করে চিৎকার করতে থাকে। এ সময় আশপাশের প্রতিবেশীরা এসে ওবায়দুরকে রক্তাক্ত অবস্থায় নিথর দেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখতে পায়। খবর পেয়ে নিহতের ছোট ভাই সিরাজ ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে ওবাইদুরকে উদ্ধার করে আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

    নিহতের ছোট ভাই সিরাজ মুন্সী বলেন, আমার ভাবি ও সন্তানেরা বড় ভাইকে মানসিকভাবে নির্যাতন করে পাগল করে ফেলেছে। তারা প্রায় সময় ভাইয়ের সাথে খুব খারাপ আচারণ করতো। এমনকি তার গায়ে হাত দিতো। বুধবার দিবাগত রাতের শেষ ভাগে ভাবি আমাকে গিয়ে বলছে তোমার ভাইকে কারা যেন মেরে ফেলে রেখে গেছে। আমি তাদের বাড়িতে ভয়ে যাই না। পরে ৯৯৯ ফোন দিয়ে থানা থেকে পুলিশ এসে ভাইকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে। আমার ভাইকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ হারুন অর রশিদ (ওসি) বলেন, পারিবারিক নানা কলহের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। নিহতের স্ত্রী সাবিনা বেগম ও পুত্রবধূ মাসকারা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী সাবিনা বেগম স্বীকার করেছেন নিজেই তার স্বামীকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেছেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

    এআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…