রাজশাহীর বাঘায় নিজ বাড়ির শয়ন কক্ষে তীরে রশিতে ঝুলন্ত গৃহবধু মর্জিনা বেগমের(৪০) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে ১০টায় উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের কিশোরপুর শকুনপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। গৃহবধু মর্জিনা বেগম ওই গ্রামের ইউসুফ আলী স্ত্রী।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তার স্বামীসহ মেঝ ছেলে সোহান আলী ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করে। বড় ছেলে শাওন আলী বালীবাহী ট্রাকের শ্রমিক হিসাবে কাজে ছিলেন। ছোট ছেলে বাহিরে ছিল। এই ফাঁকে ঘরের তীরের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করে। ছোট রোহান আলী বাড়িতে ঢুকে মায়ের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে শয়ন কক্ষের ভিতরে গিয়ে তীরের সাথে গলায় রশিতে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলতে দেখে । তার আত্নচিৎকারে প্রতিবেশিরা গিয়ে রশিতে তার মায়ের মরদেহ ঝুলতে দেখেন। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য ওই গৃহবধুর মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওই নারীর স্বামীর বড়ভাই রমিজ উদ্দিন জানান, তার গরীব মানুষ। স্বামীসহ তিন ছেলে শ্রমিকের কাজ করে সংসার পরিচালনা করেন। তার দাবি, পরিবারের মাঝে তেমন কোন গন্ডগোল-ফ্যাসাদ ছিলানা, তবে তার কিছুটা মানুষিক সমস্যা ছিল। এই কারণে আত্নহত্যার পথ বেঁচে নিতে পারে।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ ফ ম আছাদুজ্জামান বলেন,মরদেহ উদ্ধারের পর একটি অপমৃত্যুর মামলা (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে। রবিবার সকালে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মগে পাঠানো হয়েছে।
এআই