এইমাত্র
  • ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় আরও ২ জন আটক
  • প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় উপদেষ্টার দপ্তরের নির্দেশে তদন্ত শুরু
  • সাবেক বিচারপতি মেজবাহ উদ্দিন মারা গেছেন
  • বাসভবন-কার্যালয় প্রস্তুত, সিলেট হয়ে ঢাকায় ফিরবেন তারেক রহমান
  • ফটিকছড়িতে অবাধে কাটা হচ্ছে পাহাড়-টিলা-কৃষি জমি, হুমকিতে পরিবেশ
  • আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
  • মেসি-শচীনের ঐতিহাসিক সাক্ষাৎ, উপহার বিনিময়
  • ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় মামলা
  • হাবিবুরসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক শুরু আজ
  • বাংলাদেশি শান্তিকর্মীদের ওপর হামলা, সুদানকে সতর্কবার্তা জাতিসংঘের
  • আজ সোমবার, ১ পৌষ, ১৪৩২ | ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    আন্তর্জাতিক

    বোমার ভয়ের চেয়েও ক্ষুধায় কাতর গাজাবাসী

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৬ পিএম
    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৬ পিএম

    বোমার ভয়ের চেয়েও ক্ষুধায় কাতর গাজাবাসী

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৬ পিএম

    ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও অবরোধে দিন দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে মানবিক সংকট। এমন পরিস্থিতিতে গাজায় ফিলিস্তিনি শিশুদের দিনে একবেলারও কম খাবার খেয়ে বেঁচে থাকতে হচ্ছে। এমনকি ক্ষুধার জ্বালায় কিছু গাজাবাসী প্রোটিনের বিরল উৎস হিসেবে সামুদ্রিক কচ্ছপ খাওয়ার দিকে ঝুঁকছেন। গাজা উপত্যকায় ক্ষুধাই যেন হয়ে উঠেছে সবচেয়ে ‘বড় অস্ত্র’।

    উপত্যকাটির ১২টি প্রধান দাতা গোষ্ঠীর নেতারা এক জরুরি সতর্কবার্তায় এ কথা বলেছেন। গত বৃহস্পতিবার দাতা গোষ্ঠীগুলোর এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলের ১৮ মাসের সামরিক অভিযান ও গত মাসে আরোপ করা পূর্ণ অবরোধের কারণে গাজার মানবিক সহায়তা ব্যবস্থা ‘সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ার উপক্রম’ হয়েছে।

    এদিকে দ্য গার্ডিয়ান তার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সাত সপ্তাহ ধরে চলা ইসরায়েলি সামরিক অবরোধ গাজাকে এক নতুন স্তরের হতাশার দিকে ঠেলে দিয়েছে। ইসরায়েলের নজিরবিহীন অবরোধের ফলে পুরো গাজা উপত্যকা মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে। এ অবরোধের কারণে ফিলিস্তিনি এ ভূখণ্ডটি এমন এক চরম অবস্থার মধ্যে পড়েছে, যা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভয়াবহ। বাসিন্দারা এখন নতুন করে স্থানচ্যুতির আদেশ, হাসপাতালের মতো বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর নতুন করে বোমাবর্ষণ, খাদ্য, জেনারেটরের জন্য জ্বালানি এবং চিকিৎসাসামগ্রীর ঘাটতির মুখোমুখি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে গাজাবাসী জানিয়েছেন, এখন তারা বিমান হামলার চেয়েও দুর্ভিক্ষকে বেশি ভয় পাচ্ছেন। দ্য গার্ডিয়ান, বিবিসি

    উত্তর গাজার বেইত লাহিয়ার ৪৪ বছর বয়সি বিশ্ববিদ্যালয় প্রভাষক হিকমত আল-মাসরি বলেছেন, অনেকবার আমাকে আমার ছেলের জন্য নিজের খাবার ছেড়ে দিতে হয়েছে। আমাকে যে জিনিসটা মেরে ফেলবে, তা হলো ক্ষুধা।

    দুই মাসের যুদ্ধবিরতির সময় মজুত করা খাবার এখন শেষ হয়ে গেছে এবং গোটা উপত্যকায় হতাশ মানুষ খালি হাঁড়ি-বাসন নিয়ে দাতব্য রান্নাঘরের সামনে ভিড় করছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাজারে পণ্যের দাম যুদ্ধবিরতির সময়ের তুলনায় এখন ১৪০০ শতাংশ বেড়েছে। নতুন ইসরায়েলি সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশে আনুমানিক ৪ লাখ ২০ হাজার মানুষ আবার পথে নেমেছেন। যার ফলে ক্ষুধা ও অপুষ্টি নিয়ে সঠিক তথ্য সংগ্রহ কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে অক্সফামের হিসেব অনুযায়ী, বেশির ভাগ শিশু এখন দিনে একবেলারও কম খাবার খেয়ে বেঁচে আছে।

    প্রায় ৯৫ শতাংশ ত্রাণ সংস্থা বিমান হামলা ও অবরোধের কারণে তাদের কার্যক্রম স্থগিত বা সীমিত করেছে এবং ফেব্রুয়ারি থেকে গাজায় আন্তর্জাতিক কর্মীদের প্রবেশের ওপর ইসরায়েল কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এমনকি ব্যথানাশক ওষুধের মতো মৌলিক চিকিৎসাসামগ্রীও শেষ হয়ে যাচ্ছে। দ্য গার্ডিয়ান, বিবিসি

    এর আগে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক প্রধান হানান বলখি বলেছেন, কিছু গাজাবাসী এতটাই মরিয়া হয়ে উঠেছে যে তারা পশুর খাবার ঘাস এবং নর্দমার পানি খাচ্ছে।

    এবি

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…