এইমাত্র
  • হাদিকে গুলি করা অভিযুক্ত মাসুদের ভারতে গিয়ে সেলফি
  • ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় আরও ২ জন আটক
  • প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় উপদেষ্টার দপ্তরের নির্দেশে তদন্ত শুরু
  • সাবেক বিচারপতি মেজবাহ উদ্দিন মারা গেছেন
  • বাসভবন-কার্যালয় প্রস্তুত, সিলেট হয়ে ঢাকায় ফিরবেন তারেক রহমান
  • ফটিকছড়িতে অবাধে কাটা হচ্ছে পাহাড়-টিলা-কৃষি জমি, হুমকিতে পরিবেশ
  • আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
  • মেসি-শচীনের ঐতিহাসিক সাক্ষাৎ, উপহার বিনিময়
  • ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় মামলা
  • হাবিবুরসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক শুরু আজ
  • আজ সোমবার, ১ পৌষ, ১৪৩২ | ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    শিক্ষাঙ্গন

    অধ্যাপক মুহসিনকে স্বপদে বহালের দাবিতে ববি শিক্ষার্থীদের চার দফা আন্দোলন

    তানজিদ শাহ জালাল ইমন, ববি প্রতিনিধি প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০৮ পিএম
    তানজিদ শাহ জালাল ইমন, ববি প্রতিনিধি প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০৮ পিএম

    অধ্যাপক মুহসিনকে স্বপদে বহালের দাবিতে ববি শিক্ষার্থীদের চার দফা আন্দোলন

    তানজিদ শাহ জালাল ইমন, ববি প্রতিনিধি প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০৮ পিএম

    অধ্যাপক ড. মো. মুহসিন উদ্দীনকে সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে স্বপদে পুনর্বহালের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। একইসাথে চার দফা দাবিতে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী সমাবেশ করে।

    সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ১টায় ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী সংঘ’-এর ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-১ এর নিচতলায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

    সমাবেশে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইনামুল হক হৃদয়, মো. তারিক হোসেন ও আতিক আব্দুল্লাহ। তারা অভিযোগ করেন, নারী কেলেঙ্কারিতে দণ্ডপ্রাপ্ত এবং ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের একজন নেতা মো. মনিরুল ইসলাম এখনো রেজিস্ট্রার পদে বহাল থাকলেও, শিক্ষার্থীদের পক্ষে থাকা একমাত্র শিক্ষক অধ্যাপক মুহসিন উদ্দীনকে কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই সিন্ডিকেট থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা এই ঘটনাকে উপাচার্যের একতরফা সিদ্ধান্ত এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যা দেন।

    চার দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা বলেন— অধ্যাপক মুহসিন উদ্দীনের বিরুদ্ধে আনা ‘মিথ্যা ও অপমানজনক’ অভিযোগ প্রত্যাহার করতে হবে এবং তাঁকে সিন্ডিকেট সদস্য পদে পুনর্বহাল করে প্রশাসনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলামকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে। ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের দোসর—জুলাই আন্দোলনের বিরোধী প্রশাসনিক সুবিধাভোগী শিক্ষক-কর্মচারীদের সব প্রশাসনিক ও লাভজনক কমিটি থেকে অপসারণ নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়ে উপাচার্যকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

    এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী বলেন, “সিন্ডিকেট সদস্যকে অব্যাহতি দিতে হলে নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়, যা এই ক্ষেত্রে হয়নি। এমন সিদ্ধান্ত এককভাবে নেওয়া বিধিসম্মত নয়।”

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জানান, অধ্যাপক মুহসিন উদ্দীন অতীতে আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টতা থাকা সত্ত্বেও সম্প্রতি জুলাই আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। ফলে বর্তমান প্রশাসনের কাছে তিনি ‘অগ্রহণযোগ্য’ হয়ে পড়েন।

    অন্যদিকে, উপাচার্য অধ্যাপক ড. শূচিতা শরমিন বলেন, “অধ্যাপক মুহসিন উদ্দীনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অস্থির করেছে। নিয়ম অনুযায়ীই তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা পরবর্তীতে সিন্ডিকেট সভায় অবহিত করা হবে।” তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থিতিশীল রাখার জন্য সকলকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।

    সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রীতম ঘোষাল, মশিউর রহমান রনি, ফুরকান, খালিদ হাসান, মোজাহিদ, মুকুল আহমেদ, তামিম ইকবাল রাজু ও রহমত প্রমুখ।

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…