রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানা এলাকায় এক চাঞ্চল্যকর ছিনতাইয়ের ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)। এ ঘটনায় জড়িত অটোরিকশা চালক মোঃ মাসুম (৩০) কে নাটোর জেলার মান্দা থানার ঠাকুর মান্দা গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি মৃত ছানোয়ার শেখের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০ এপ্রিল সকালে রাজশাহীর একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য নগদ ১৩ লক্ষ টাকা নিয়ে রওনা হন প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার দিলীপ কুমার প্রামানিক (৫৫)। সকাল পৌনে ৯টার দিকে তিনি নগরীর ঘোড়ামারা পানির পাম্প এলাকা অতিক্রমকালে হঠাৎ দুইজন হেলমেট পরিহিত মোটরসাইকেল আরোহী তার চলন্ত অটোরিকশার পথরোধ করে।
তৎক্ষণাৎ দুর্বৃত্তরা দিলীপ কুমারের চোখে শুকনো মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেয় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তার সঙ্গে থাকা টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। ম্যানেজার দিলীপ কুমার ছিনতাইকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করলে ব্যাগ থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা রাস্তায় পড়ে যায়। তবে ছিনতাইকারীরা বাকি ১০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর পরই বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি ছিনতাই মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পর রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানের নির্দেশনায় শুরু হয় তৎপরতা। নগরজুড়ে বসানো হয় একাধিক চেকপোস্ট এবং থানা ও টহল টিমকে সর্তক করে তল্লাশি জোরদার করা হয়।
বোয়ালিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত অটোরিকশা ও তার চালককে শনাক্ত করে। পরবর্তীতে এসআই মো: শরিফুল ইসলাম ও তার নেতৃত্বাধীন একটি দল ২১ এপ্রিল দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে মান্দা থেকে মাসুমকে গ্রেপ্তার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে মাসুম স্বীকার করেন, তিনি সরাসরি ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং ঘটনার পরপরই আত্মগোপনে চলে যান। তবে ছিনতাই হওয়া পুরো টাকা এখনও উদ্ধার হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, বাকি আসামিদের ধরতে এবং ছিনতাই হওয়া টাকা উদ্ধার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত মাসুমকে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, অপরাধ দমনে তারা সবসময়ই কঠোর অবস্থানে রয়েছে। নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরএমপি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এসআর