দেশের অন্যতম উন্নয়নশীল পৌরসভা হিসেবে পরিচিত গাজীপুরের কালিয়াকৈর। তবে উন্নয়নের এই ধারায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার চিত্র ছিল একেবারে বিপরীত। পৌর এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বর্জ্য অপসারণে চরম অব্যবস্থাপনার কারণে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছিল।
মঙ্গলবার (২২এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মাটিকাটা এলাকার সফিপুর-বড়ইবাড়ী আঞ্চলিক সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, নির্দিষ্ট ডাম্পিং জোন থাকা সত্ত্বেও ঠিকাদাররা নিয়ম না মেনে রাস্তার উপরেই বর্জ্য ফেলছিলেন। এতে যান চলাচলে সৃষ্টি হচ্ছিল চরম বাধা, পাশাপাশি দুর্গন্ধে আশপাশের পরিবেশ হয়ে উঠেছিল বসবাসের অযোগ্য।
একই অবস্থা ছিল ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কালামপুর পূর্বপাড়ায়। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশের শালবনের জমি ও বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির প্রস্তাবিত ভবনের জমিও ছিল আবর্জনায় সয়লাব। এসব ঘটনায় স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে আসছিলেন।
তবে বিষয়টি নিয়ে সময়ের কণ্ঠস্বরে সংবাদ প্রকাশের পরই নড়েচড়ে বসে পৌর কর্তৃপক্ষ। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাটিকাটা এলাকার সফিপুর-বড়ইবাড়ী আঞ্চলিক সড়ক থেকে ময়লা অপসারণ করা হয়। শুরু হয়েছে অন্যান্য এলাকা থেকেও বর্জ্য সরানোর কার্যক্রম।
এ বিষয়ে কালিয়াকৈর পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল আলম তালুকদার বলেন, বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে অতিরিক্ত পরিবহন সংযুক্ত করে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউসার আহমেদ বলেন, নাগরিক দুর্ভোগের কথা বিবেচনায় নিয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে, প্রয়োজনে দায়ীদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের লক্ষ্য একটি পরিচ্ছন্ন, বাসযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব কালিয়াকৈর গড়ে তোলা।
এসআর