নামাজ ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ৮২ বার সরাসরি নামাজের কথা বলেছেন। নামাজের গুরুত্ব সম্পর্কে বহু হাদিস বর্ণিত রয়েছে। সুরা বাকারার শুরুতে মুত্তাকিদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হিসেবে ইমান, নামাজ আদায় ও জাকাত প্রদানের কথা উল্লেখ করে আল্লাহ তাআলা বলেন, এই সেই কিতাব, যাতে কোন সন্দেহ নেই, মুত্তাকিদের জন্য হেদায়াত। যারা গায়েবের প্রতি ইমান আনে, নামাজ আদায় করে এবং আমি তাদেরকে যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে। (সুরা বাকারা: ৩, ৪)
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্তে ১৭ রাকাত নামাজ আদায় করা ফরজ। ইশার নামাজের পর তিন রাকাত বেতর আদায় করা ওয়াজিব। এ নামাজগুলো দাঁড়িয়ে আদায় করা ফরজ। কোনো গ্রহণযোগ্য ওজর ছাড়া ফরজ বা ওয়াজিব নামাজ বসে আদায় করা যাবে না।
ইমরান ইবনে হুসাইন (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে বসে সালাত আদায়কারী ব্যক্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করল সে উত্তম আর যে ব্যক্তি বসে সালাত আদায় করল তার জন্য দাঁড়ানো ব্যক্তির অর্ধেক সওয়াব। আর যে শুয়ে আদায় করল, তার জন্য বসে সালাত আদায়কারীর অর্ধেক সওয়াব।’ (বুখারি, হাদিস : ১১১৬)
এ হাদিসের আলোকে ইসলামী আইনবিদরা লিখেছেন, দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে সক্ষম ব্যক্তির জন্য ফরজ ও ওয়াজিব নামাজ বসে পড়া শুদ্ধ নয়। (বুখারি, হাদিস : ১০৫০) ।
তবে হ্যাঁ, কোনো সমস্যা বা ওজরের কারণে বসে নামাজ পড়তে পারবে। আর দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে সক্ষম ব্যক্তির জন্য নফল নামাজ বসে পড়া জায়েজ। (বুখারি, হাদিস : ১০৪৯)
যে ব্যক্তি বসে নামাজ পড়বে সে তাশাহহুদের মতো করে বসবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা : ২/৫২৭)
দাঁড়িয়ে নফল নামাজ শুরু করা ব্যক্তি বসে তা পরিপূর্ণ করতে পারে, তাতে কোনো অসুবিধা নেই। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৪/২৭৪)
ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর মতে, কোনো ওজর ছাড়াও জাহাজের ওপর বসে নামাজ পড়া জায়েজ। (সুনানে কুবরা, হাদিস : ৫৭০২)
রুকু-সিজদায় সক্ষম ব্যক্তির জন্য জাহাজে ইশারা করে নামাজ পড়া শুদ্ধ নয়। (বুখারি, হাদিস : ১০৫০)
এবি