চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বাদামতল এলাকায় নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়েকে বাল্যবিবাহ করতে এসে এক ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। আটক হওয়া যুবকের নাম সুশান্ত নাথ (৩০)। সে কলকাতায় নদীয়া জেলার শান্তিপুর থানার চাঁদরা এলাকার পতিকান্ত নাথের ছেলে।
অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের নাম শান্তা নাথ (১৪)। সে বাঁশবাডিয়া ইউনিয়নের বাদামতল এলাকার লক্ষণ চন্দ্রনাথের মেয়ে বাঁশবেড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী।
এ ঘটনায় বিয়ের মূল আয়োজককারী ছেলের মাসি দিপালী বালানাথকে ৪০ হাজার টাকা জরিমান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন।
ভ্রাম্যমান আদালতে সূত্রে জানা যায়, সুশান্ত নাথ একজন ভারতীয় নাগরিক। তার খালা দিপালী বালা নাথের মাধ্যমে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের লক্ষণ চন্দ্রনাথের মেয়ে শান্তা নাথের সাথে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাতে বিয়ের আয়োজন চলছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি জেনে যায় উপজেলা প্রশাসন। তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন। অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে মেয়ের বাবা-মা ও ছেলের মাসি পালিয়ে যায়। পরে উপজেলা প্রশাসনে হস্তক্ষেপে তারা আসতে বাধ্য হয়। এ সময় বিয়ের মূল পরিকল্পনাকারী ছেলের মাসি দিপালী বালা নাথকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এবং মেয়ের উপযুক্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ের কার্যক্রম স্থগিত রাখার জন্য নির্দেশ দেন। ভারতীয় নাগরিক সুশান্ত নাথকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিজের দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য আদেশ দেওয়া হয়।
এই ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সুশান্ত নাথ একজন ভারতীয় নাগরিক। সে বিয়ের উদ্দেশ্যেই এখানে এসেছিল। কিন্তু মেয়ের দেশীয় আইন অনুযায়ী বিয়ের পর্যাপ্ত বয়স না হওয়ায় বিয়ের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। ছেলেকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তার দেশে চলে যাওয়ার জন্য আদেশ দেওয়া হয়। এছাড়াও এই বাল্যবিবাহের মূল পরিকল্পনাকারী মাসি দিপালী বালা নাথকে (৪০) হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এসআর