পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পেছনে জঙ্গলের মধ্যে জন্মেছে একটি গাঁজার গাছ। ধারণা করা হচ্ছে, হলে অবস্থানরত কিছু শিক্ষার্থী গাঁজা সেবনের পর বীজ যত্রতত্র ফেলায় ওই স্থানে গাছটি অঙ্কুরিত হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল)। গাঁজার গাছটি প্রথম দেখতে পান হলের কয়েকজন কর্মচারী। পরে বিষয়টি হল প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হলে, তাঁরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাছটি তুলে ফেলেন এবং ধ্বংস করেন।
এর আগেও গত ৫ আগস্টের আগে হলে একাধিকবার গাঁজার গাছ জন্মানোর ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। শুধু তাই নয়, কিছুদিন আগে গাঁজা সেবনরত অবস্থায় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করা হলেও তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, “হলের আশেপাশে এমন গাঁজার গাছ জন্মানো খুবই উদ্বেগজনক। এটা প্রমাণ করে, কেউ না কেউ নিয়মিতভাবে এখানে গাজা সেবন করছে। অথচ প্রশাসনের উচিত ছিল বিষয়টি আরো গুরুত্বের সঙ্গে দেখা।”
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী মোন রেজওয়ান হৃদয় বলেন, “আমাদের ছেলেদের হলের পিছনের দিকটাতে প্রচুর পরিমাণে নোংরা এবং অপরিষ্কার। অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্নতার কারণে বিশেষ করে নিচতলার মশার উপদ্রব অনেক বেশি । এমন অবস্থায় গাঁজার গাছ পাওয়ার খবরটা হল প্রশাসনের দুর্বলতার দিকটাকে নির্দেশ করে। আমি হল প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করব যাতে তারা এই নোংরা পরিস্থিতিতে থেকে শিক্ষার্থীদের সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ উপহার দেন।”
এ বিষয়ে শেখ মুজিবুর রহমান হলের সহকারী হল প্রভোস্ট মো. ফারুক গাজী বলেন, “হলের পেছনে একটি গাঁজার গাছ জন্মেছে—এমন খবর পেয়ে হল প্রশাসন তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে পৌঁছে। পরে গাছটি উপড়ে ফেলে বিনষ্ট করা হয়।”
তিনি আরও বলেন, “হলের পরিবেশ সুস্থ ও নিরাপদ রাখতে হলে প্রশাসন নিয়মিত নজরদারি চালাবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে প্রয়োজনে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”
এনআই