সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত হওয়া নিয়ে এবার ভারতকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিল ইসলামাবাদ। তারা জানিয়েছে, পাকিস্তানের দিকে জলপ্রবাহে বাধা দেওয়ার চেষ্টা হলে সেটিকে যুদ্ধ হিসাবে দেখা হবে। শিমলা চুক্তি-সহ ভারতের সঙ্গে সব দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্থগিত রাখা হতে পারে বলেও জানিয়েছে পাকিস্তান। একই সঙ্গে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যও বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ইসলামাবাদে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চলা জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে শাহবাজ শরিফের পাকিস্তান সরকার।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স অনুসারে, পাকিস্তান জানিয়েছে তারা ভারতের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বন্ধ করে দিচ্ছে। ভারতকে তৃতীয় কোনও দেশে বাণিজ্যের জন্যও তারা নিজেদের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দেবে না। বস্তুত, বুধবার রাতেই ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সিন্ধু জলচুক্তি আপাতত স্থগিত রাখছে ভারত। পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া বন্ধ না-করা পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বজায় থাকবে। ভারতের এই সিদ্ধান্তে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে পাকিস্তান। রয়টার্স অনুসারে, সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে নয়াদিল্লির ঘোষণাকে সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামাবাদ।
শুধু তা-ই নয়, নিজেদের আকাশসীমাও ভারতকে আর ব্যবহার করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। প্রতিটি ভারতীয় উড়ানসংস্থার জন্য এই নিয়ম কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছে তারা।
এর আগে বুধবার রাতে পাকিস্তানের বিদ্যুৎমন্ত্রী দাবি করেছেন, “ভারত সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করা জল-যুদ্ধের শামিল... প্রতিটি জলবিন্দুর উপর আমাদের অধিকার রয়েছে এবং আমরা তা পূর্ণ শক্তিতে রক্ষা করব— আইনত, রাজনৈতিক ভাবে এবং বৈশ্বিক ভাবে।”
একই সুর শোনা গিয়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা সরতাজ আজিজের গলাতেও। তাঁরও দাবি, সিন্ধু জলচুক্তি প্রত্যাহার হলে তা ‘যুদ্ধের পদক্ষেপ’ বা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘শত্রুতামূলক পদক্ষেপ’ হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে।