বরিশাল শহরের পাশেই বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়ন। আর এই ইউনিয়নে রাজগুরু গ্রামের প্রায় দুই কিলোমিটার ইটের রাস্তা এক যুগেও পাকা না হওয়ায় দুর্ভোগে ওই গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষ। তবে খানাখন্দে ভরা রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করতে গ্রামবাসীকে। সঙ্গে পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ।
স্থানীয় আবুল বশার সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, শিশু, বৃদ্ধ, প্রসূতি নারী, অসুস্থ রোগী ও মসজিদের মুসল্লিদের দুর্ভোগের শেষ নেই এই রাস্তাটির কারনে।
তিনি আরো বলেন, সরকার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি পরিবর্তন হলেও রাস্তাটির পরিবর্তন হয়নি এক যুগের বেশি সময় ধরে। তাই সরকারের কাছে আমাদের একটাই দাবি এই রাস্তাটি পাকা করণের।
সালেহা বেগম নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একাধিক বার বলা হলেও তারা আমাদের কথায় কোন সাড়া দিচ্ছে না।
রহমতপুর ইউনিয়নের রাজগুরু গ্রামের সাংবাদিক মোহাম্মাদ আলী এর বাড়ি থেকে হাকিম ডাক্তার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটি গ্রামের মানুষই কাছে গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে।
বাবুগঞ্জ উপজেলার আগরপুর, কেদারপুর ও রহমতপুর ইউনিয়নের মানুষও চলাচল করে থাকে এই রাস্তাটি দিয়ে। ইটের রাস্তা দিয়ে শিক্ষার্থীরা রাজগুরু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাবুগঞ্জ সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বাবুগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের যাওয়া আসা করেন প্রতিদিন। তবে বর্ষার দিনে শিক্ষার্থীদের দূর্ভোগের শেষ নেই।
তাই গ্রামবাসী ও শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও বাবুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ কাইয়ুম হোসেন খান বলেন, তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে এই রাস্তাটি করা হয়। তারপর থেকে আর কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি রাস্তাটিতে। থানা প্রপারে হওয়া সত্ত্বেও কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এই গ্রামেও। গ্রামের জনপ্রতিনিধি থাকলেও কেউ কোন পদক্ষেপ নেননি রাস্তাটির বিষয়ে। তারা শুধু তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন নিয়ে ব্যস্ত।
গ্রামের মানুষের সাপোর্ট নিয়ে বড় বড় নেতা হয়েছেন। কিন্তু পিছিয়ে পড়া গ্রামের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কোন কাজ করেননি। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি রাস্তাটির উন্নয়নের দিকে একটু নজর দেওয়ার জন্য।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ ওবায়দুল হক জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তাটি সংস্কার করবেন বলে জানান তিনি।
এসআর