বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসনসহ ২০টি অভিযোগ উত্থাপন করেছে ফ্যাসিবাদ বিরোধী মঞ্চ। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরে মঞ্চটি। তারা উপাচার্যের প্রকাশ্য ক্ষমা চাওয়া ও পূর্ব ঘোষিত চার দফা দাবি মানার জন্য ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মঞ্চের চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দিনের বিরুদ্ধে আনীত মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার ও তাকে সিন্ডিকেট এবং একাডেমিক কাউন্সিলে পুনর্বহাল, আওয়ামী লীগের পদধারী রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের অপসারণ, ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অপসারণ এবং ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসনের দায় নিয়ে উপাচার্যের প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা।
সংবাদ সম্মেলনে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিন খান বলেন, “জুলাই বিপ্লবের পর আমরা একটি ভিন্ন চিত্র চেয়েছিলাম—একটি গণতান্ত্রিক, স্বচ্ছ ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশসম্পন্ন বিদ্যাপীঠ। কিন্তু তার বদলে আমরা দেখছি একের পর এক স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত।” তিনি অভিযোগ করেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এখন স্বৈরাচারের দোসরদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের অধিকারের বিপরীতে কাজ করছে প্রশাসন।
তিনি আরও বলেন, “এই বিশ্ববিদ্যালয় বিপ্লবীদের। তাই এখানকার শিক্ষার্থীরা বিপ্লববিরোধী কোনো তৎপরতা মেনে নেবে না। আমাদের চার দফা দাবি দ্রুত মানা না হলে আমরা এমন কর্মসূচি ঘোষণা করব, যা এই স্বৈরাচারী প্রশাসনকে কাঁপিয়ে দেবে।”
সংবাদ সম্মেলনে ‘উপাচার্যের ব্যর্থতার উপাখ্যান ও শিক্ষার্থীদের হাহাকার’ শীর্ষক একটি অভিযোগপত্র উপস্থাপন করা হয়। এতে শিক্ষা ও একাডেমিক কার্যক্রমে ব্যর্থতা, প্রশাসনিক দুর্বলতা ও অনিয়ম, শিক্ষার্থী হয়রানি ও অধিকার লঙ্ঘন এবং আর্থিক ও অবকাঠামোগত দুর্বলতা সংক্রান্ত মোট ২০টি অভিযোগ তোলা হয়।
এসআর