এইমাত্র
  • ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় আরও ২ জন আটক
  • প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় উপদেষ্টার দপ্তরের নির্দেশে তদন্ত শুরু
  • সাবেক বিচারপতি মেজবাহ উদ্দিন মারা গেছেন
  • বাসভবন-কার্যালয় প্রস্তুত, সিলেট হয়ে ঢাকায় ফিরবেন তারেক রহমান
  • ফটিকছড়িতে অবাধে কাটা হচ্ছে পাহাড়-টিলা-কৃষি জমি, হুমকিতে পরিবেশ
  • আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
  • মেসি-শচীনের ঐতিহাসিক সাক্ষাৎ, উপহার বিনিময়
  • ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় মামলা
  • হাবিবুরসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক শুরু আজ
  • বাংলাদেশি শান্তিকর্মীদের ওপর হামলা, সুদানকে সতর্কবার্তা জাতিসংঘের
  • আজ সোমবার, ১ পৌষ, ১৪৩২ | ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    কিশোরগঞ্জের ভৈরবে হাঁস চুরির জের ধরে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

    ইমন মাহমুদ লিটন, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৪ পিএম
    ইমন মাহমুদ লিটন, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৪ পিএম

    কিশোরগঞ্জের ভৈরবে হাঁস চুরির জের ধরে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

    ইমন মাহমুদ লিটন, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৪ পিএম

    কিশোরগঞ্জের ভৈরবে হাঁস চুরির অভিযোগে মারধর ঘটনায় যুবকের রহস্য জনক মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে। পরিবারের অভিযোগ পিটিয়ে ইঁদুরের ট্যাবলেট খাওয়ানোর পর অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে। প্রতিপক্ষের দাবি মায়ের বকাবকিতে নিজ ঘরে ইঁদুরের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে পৌর শহরের কালিপুর নয়াহাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবত জনি মিয়া (১৯) ওই এলাকার জয়নাল মিয়ার ছেলে। অভিযুক্তরা হলেন প্রতিবেশী হারুণ মিয়ার ছেলে আল আমিনসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা।

    স্থানীয়রা জানান, ২৩ এপ্রিল রাতে হারুণ মিয়ার ঘরের ৭টি হাঁস চুরি হয়। সকালে জনির মাধ্যমে হাঁস উদ্ধার হলেও। হাঁস চুরির ঘটনায় কয়েকজন যুবক জনিকে মারধর করে৷ পরে জনি বাড়িতে গিয়ে বমি করে। পরক্ষণে তার মা চিৎকার চেচামেচি করে ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে জনি মৃত্যু বরণ করে। জনি পরিবারে ১ মাত্র ছেলে। তার তিন বোন রয়েছে। জনি বাড়ির পাশে একটি বস্তার গুদামে কাজ করে। জনি মাদকাসক্ত ছিল।

    এ বিষয়ে অভিযুক্ত আল আমিনের মা মরিয়ম বেগম বলেন, রাতে আমার ঘরের হাঁস চুরি হলে সকালে জানতে পারি জনি চুরির সাথে জড়িত আছে। সাথে বলাই নামের এক চোরও রয়েছে। জনির দেয়া তথ্য আমার চুরি হওয়া ৭টি হাঁস ২ হাজার টাকার বিনিময়ে উদ্ধার করে। এলাকার মানুষ জনিকে মারধর করলে আমার স্বামী হারুণ মিয়া তাকে উদ্ধার করে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে সে তাদের বাড়ি চলে যায়। জনির মা তাকে গালমন্দ করলে জনি আত্মহত্যা করতে বুলেট ট্যাবলেট খেয়ে ফেলে। আমার পরিবারসহ স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে শুনি মারা গেছে।

    জামিনা বেগম বলেন, হারুন মিয়ার ছেলে আল আমিনের হুকুমে আমার ছেলেকে মারধর করে ইঁদুরের ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়েছে। আমার ছেলে ঘরে এসে বমি করে অচেতন হয়ে গেলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে বাজিতপুর ভাগলপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়। আমার ছেলে হাঁস চুরি করেনি। আমার ছেলে চোর দেখেছিল বলে চুর ধরে দিয়েছে। এটাই আমার ১ মাত্র সন্তানের অপরাধ। আমার ছেলে দিন রাত বস্তার কাজ করতো। তারা আমার ছেলেকে মেরে ফেলছে আমি তাদের বিচার চাই।

    এ বিষয়ে ভৈরব থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক এসআই তোফায়েল আহমেদ জানান, কালিপুর গ্রামে একটি অপমৃত্যুর খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    এফএস

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…