যশোরে বাল্য বিয়ের তথ্য ম্যাজিস্ট্রেটকে দেওয়ার সন্দেহে মারুফ হোসেন (১৮) নামে এক যুবককে লোহার রড পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের আলমনগর বাজারে এ ঘটনাটি ঘটে। আহত মারুফ ফরিদপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। সে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, বুধবার স্কুলছাত্রী সুরাইয়া পারভীনের বাল্যবিয়ের আয়োজন করে তার পরিবার। খবর পেয়ে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ তার বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেয়। সুরাইয়ার পরিবারের সন্দেহ মারুফ ম্যাজিস্ট্রেটকে তথ্য দিয়ে এই বিয়ে বন্ধ করিয়েছে। এরই জের ধরে বুধবার রাতে মোসলেম উদ্দিনের দুই ছেলে রিংকু ও রনিসহ কয়েকজন মারুফকে ধরে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে। পরে খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় থানায় মামলা করবেন বলে জানান।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আহত মারুক হোসেনের সাথে সুরাইয়ার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। কিছু দিন আগে তারা অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়ে বিয়ে করে। বুধবার ওই মেয়ের পরিবার গোপনে অন্য স্থানে বিয়ের আয়োজন করে। বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। একপর্যায়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করা হয়। এরই জের ধরে ওই স্কুল ছাত্রীর স্বজনরা মারুফকে পিটিয়ে জখম করেছে।
হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আহত মারুফের মাথা ও পায়ের আঘাতটি গুরুতর। উন্নত চিকিৎসাসেবায় বর্তমানে সে আশঙ্কামুক্ত।
এমআর