ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের নদনদীর পানি বাড়ছে। এরই মধ্যে বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দুধকুমার নদে একটি মৃত গন্ডার ভেসে এসেছে। এদিকে মরা গণ্ডারের হাড়গোড় সংগ্রহ করে জাদুঘরে রাখা হবে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা, কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে ভারতের কোনো বন্য প্রাণী সংরক্ষণ এলাকা থেকে ভেসে এসেছে এটি।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে ও ঢলের কারণে ভারতে প্রবল বন্যার খবর পেয়েছেন তারা। একইসঙ্গে সীমান্তের ওপারে পাহাড় ধ্বস ও বনাঞ্চল তলিয়ে যাওয়া খবরও পাওয়া গেছে। এর প্রভাবে গত রোববার থেকে দুধকুমার নদ দিয়ে গাছের গুঁড়ি, মরা গরু, সাপ, মাছ ভেসে আসতে দেখা গেছে। সর্বশেষ বুধবার সকালে ভেসে এসেছে একটি গন্ডারের মরদেহ। পরে সেটি তিলাই ইউনিয়নের দক্ষিণ ছাট গোপালপুর গ্রামের দুধকুমার নদের চরে আটকা পড়ে।
মঞ্জুরুল ইসলাম নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, উজানের ঢলে কালজানি ও দুধকুমার নদে শত শত গাছের গুঁড়ি ও কাঠ ভেসে এসেছে। এর সঙ্গে ওই মৃত গন্ডার ভেসে আসে।
খবর পেয়ে আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান তিলাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান, কুড়িগ্রাম রেঞ্জ কর্মকর্তা (সামাজিক বনায়ন) সাদিকুর রহমান, উপজেলা বন কর্মকর্তা সেকেন্দার আলী ও যমুনা সেতু আঞ্চলিক জাদুঘরের কিউরেটর জুয়েল রানা।
ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘গতকাল এলাকাবাসী মৃত দেহটি দেখতে পেয়ে আমাকে খবর দিলে আমি বন বিভাগকে জানাই। আজ বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তাসহ যমুনা সেতু আঞ্চলিক জাদুঘরের কিউরেটর সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।’
কুড়িগ্রাম বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা সাদিকুর রহমান বলেন, গন্ডারটি খুব বড় ও ভারী হওয়ায় সরানো সম্ভব হয়নি। তাই মাটিতে গর্ত করে সেখানেই পুঁতে ফেলার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জাদুঘরের লোকজন এর হাড়গোড় সংগ্রহ করবেন।
যমুনা সেতু আঞ্চলিক জাদুঘরের কিউরেটর জুয়েল রানা বলেন, গন্ডারটির দেহ পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। দুই মাস পর পচনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে হাড়গোড় সংগ্রহ করে জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে। এগুলো শিক্ষা ও গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হবে।
এনআই