‘নিরাপত্তা’ ও পারিবারিকসহ একাধিক কারণ উল্লেখ করে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েনছে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এই ঘোষণা দেন। এ সময় তার সিদ্ধান্তে উপস্থিত সংবাদকর্মী ও তার অনুসারীরা বিস্ময় প্রকাশ করেন।
মাসুদুজ্জামান বলেন, "পারিবারিক কারণে এবং নিরাপত্তাসহ একাধিক কারণে এই নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছি। সব কথা হয়তো এখানে বলা যাবে না। কিন্তু, আমি বাধ্য হয়েছি। আমি আমার নেতাকর্মী ও আমার শহর বন্দরের বাসিন্দাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। এই আসনে যিনিই নির্বাচন করবেন, তার পক্ষে আমার সমর্থন থাকবে।"
তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচন করবো না। আমি মনোনয়ন কিনবে না। এজন্য আমি সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।’
গত সেপ্টম্বরে বিএনপিতে যোগ দিয়েছিলেন মডেল ডি ক্যাপিটাল গ্রুপের মালিক ও নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মাসুদুজ্জামান মাসুদ। তবে আগে থেকেই তিনি বিএনপিপন্থী হিসেবে পরিচত ছিলেন। যোগ দেয়ার অল্পদিনের মধ্যেই পান বিএনপির মনোনয়ন। তবে ভোটের লড়াইয়ের আগেই দিলেন সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা।
মাসুদ বলেন, ‘গত ৫-৬ মাসে আমি অনেক জায়গাতে গিয়েছি। সেখানে সবার সাড়া পেয়েছি। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণ ও কিছু পারিপার্শ্বিক কারণে আমাকে এ কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। প্রথমত নিরাপত্তাহীনতার শঙ্কা আছে। তারপর পরিবারও চায় না, ভোটের মাঠে থাকি। আমি সব নেতাকর্মীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমি জানি কী রকমের কষ্ট আপনারা পাচ্ছেন। আপনাদের স্বপ্নের, আশার জায়গা ছিল। সে আশা ব্যাহত হচ্ছে। এটা আমার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া খুব সহজ ছিল না।’
এ সময় সংবাদকর্মীরা কারণ জানার জন্য একাধিক প্রশ্ন করলেও তিনি কৌশলী হয়ে উত্তর দেন।
তিনি বলেন, "আমি জানি, আমার এ সিদ্ধান্তে নেতাকর্মীরা সবাই কষ্ট পাবে। কিন্তু আমার সিকিউরিটি কনসার্ন হচ্ছে আমার পরিবার। আমার পরিবারের সাথে এই জায়গায় নেগোসিয়েশন করতে পারছি না।"
"তবে বিষয়টা এমন না যে, সরকার নিরাপত্তা দিতে পারছে না সে কারণে সরে যাচ্ছি। এখানে ব্যক্তিগত বিষয় আছে, যা বলতে পারছি না; বা দল থেকে এই আসনে অন্য কাউকে মনোনয়ন দিয়ে দিচ্ছে এমনও না। আমি ব্যক্তিগতভাবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি," যোগ করেন তিনি।
মতবিনিময়কালে তার অনুসারী নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তারাও তখন বুঝতে পারেননি মাসুদ এ ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন। ঘোষণার পর কয়েকজনকে কাঁদতে দেখা গেছে।
ইখা