এইমাত্র
  • শ্রমশক্তি রপ্তানিতে বড় বাধা দালাল চক্র: প্রধান উপদেষ্টা
  • প্রাথমিকের শতভাগ পাঠ্যবইয়ের কাজ শেষ
  • এবার অং সান সু চি’র মৃত্যুর খবর, যা বলছে মিয়ানমার জান্তা
  • ১৩ দিনে এল ১৮ হাজার কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স
  • গাজায় মানবিক সংকট চরমে, ঠান্ডায় মারা গেল নবজাতক
  • কর্ণাটকে বিপর্যয়, তিন বছরে ২৮০০ কৃষকের আত্মহত্যা
  • ফিলিস্তিনি ও ৭ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
  • আমাকে বিদায় দিতে কেউ এয়ারপোর্টে যাবেন না: তারেক রহমান
  • ইনশাআল্লাহ ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরবো: তারেক রহমান
  • ফিফা দ্য বেস্টে বর্ষসেরা ফুটবলার হলেন উসমান দেম্বেলে
  • আজ বুধবার, ৩ পৌষ, ১৪৩২ | ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫
    আন্তর্জাতিক

    গাজায় মানবিক সংকট চরমে, ঠান্ডায় মারা গেল নবজাতক

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৫০ এএম
    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৫০ এএম

    গাজায় মানবিক সংকট চরমে, ঠান্ডায় মারা গেল নবজাতক

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৫০ এএম

    ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় প্রচণ্ড শীতে মানবিক সহায়তা প্রবেশে ইসরায়েলের অব্যাহত কড়াকড়ির মধ্যেই এক ফিলিস্তিনি নবজাতক ঠান্ডায় জমে মারা গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, দুই সপ্তাহ বয়সী ওই শিশুর নাম মোহাম্মদ খলিল আবু আল-খাইর এবং সোমবার মারা যায় সে। তীব্র শীতজনিত হাইপোথারমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়। খবর আল জাজিরা

    গাজা সিটি থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজ্জুম বলেন, শিশুটির মৃত্যু এমন এক সময়ে ঘটল যখন গাজায় মৌলিক সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলো ‘পদ্ধতিগতভাবে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে’। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধের ফলেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তারেক আবু আজ্জুম জানান, বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলো ভেজা মাটির ওপর খোলা তাঁবুতে বাস করছে। এই তাঁবুতে নেই গরমের ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ কিংবা পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র। তিনি বলেন, ‘যখন খাবার, জ্বালানি, আশ্রয় আর সহায়তা বন্ধ করে দেয়া হয়, তখন ঠান্ডা নিজেই প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে।’

    দুই বছর ধরে চলা ইসরায়েলের আগ্রাসনে গাজার ৮০ শতাংশের বেশি স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেছে। এতে শত শত হাজার পরিবার বাধ্য হয়ে অস্থায়ী টেন্ট বা গাদাগাদি করে বানানো আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। সম্প্রতি গাজায় আঘাত হানা এক ভয়াবহ ঝড়ে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়। প্রবল বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ায় এসব তাঁবুও প্লাবিত হয় এবং ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ধসে পড়ে।

    গাজা সিটি থেকে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি মা উম্মে মোহাম্মদ আসালিয়া আল জাজিরাকে বলেন, ‘আমরা আগুনে শিশুদের ভেজা কাপড় শুকানোর চেষ্টা করি। তাদের জন্য অতিরিক্ত কাপড় নেই। আমি পুরোপুরি ক্লান্ত। যে তাঁবুটি দেয়া হয়েছে, তা শীত আটকাতে পারে না। আমাদের কম্বল দরকার।’

    মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলো অবশ্য গাজায় নির্বিঘ্নে সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। তবে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গাজায় সহায়তা বিতরণে সবচেয়ে উপযোগী সংস্থা হলেও ইসরায়েল তাদের সরাসরি সহায়তা প্রবেশে বাধা দিচ্ছে।

    মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে ইউএনআরডব্লিউএ জানায়, ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে আশ্রয় নেয়া অবস্থায় ভবন ধসে পড়ে মানুষ মারা যাচ্ছে। ঠান্ডায় আক্রান্ত হয়ে শিশুদের মৃত্যুর খবরও পাওয়া যাচ্ছে। সংস্থাটি বলেছে, ‘এটা বন্ধ হতেই হবে। এখনই বড় পরিসরে সহায়তা ঢুকতে দিতে হবে।’

    এদিকে গত অক্টোবরে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি বারবার লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনা করেছে হামাস। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ১১ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও এরপর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩৯৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১০৭৪ জন আহত হয়েছেন।

    এর মধ্যেই গত শনিবার পশ্চিম গাজা সিটিতে হামলা চালিয়ে হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা রায়েদ সাদকে হত্যা করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। আর এই ঘটনা যুদ্ধবিরতির ভঙ্গুর পরিস্থিতিকে আরও চাপে ফেলেছে। হামাস বলছে, চুক্তি কার্যকর হওয়ার প্রথম দিন থেকেই হামাস তা মেনে চলেছে, কিন্তু ইসরায়েল পরিকল্পিত ও ধারাবাহিকভাবে এই চুক্তি লঙ্ঘন করে চলেছে।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…