ইউনূস-মোদি

নৈশভোজে ‘ঘনিষ্ঠভাবে’ কথা বলেছেন ইউনূস-মোদি, বৈঠক কাল
ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কুশলাদি বিনিময়ের পর ‘ঘনিষ্ঠভাবে’ কথা বলেছেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বার্তা সংস্থা বাসসকে এ তথ্য জানান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, আগামীকাল শুক্রবার ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের সাইডলাইনে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির বৈঠক হতে চলেছে।
প্রেস সচিব বলেন, ব্যাংককে আজ বিমসটেক সম্মেলনের নৈশভোজে দুই নেতার সাক্ষাৎ হয় এবং তারা কুশলাদি বিনিময় করেন। নৈশভোজে উভয় নেতাকে বেশ কিছু সময় ধরে ঘনিষ্ঠভাবে কথা বলতে দেখা গেছে।
বঙ্গোপসাগরীয় দেশগুলোর আঞ্চলিক সহযোগিতা জোটের (বিমসটেক) শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে ড. ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদি বর্তমানে ব্যাংককে অবস্থান করছেন। ২ থেকে ৪ এপ্রিল ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এফএস

এপ্রিলে থাইল্যান্ডে দেখা হবে ইউনূস-মোদির
আগামী ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে বসবে বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিকাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশনের (বিমসটেক) শীর্ষ সম্মেলন। সেখানে সদস্য দেশগুলোর শীর্ষ নেতারা যোগদানে সম্মত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় বিমসটেক কার্যালয়ে মহাসচিব ইন্দ্র মণি পান্ডে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিক্যাব) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান।
মহাসচিব জানান, আগামী ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে বিমসটেক সামিট হবে। সেখানে সদস্য দেশগুলোর শীর্ষ নেতারা যোগদানে সম্মত হয়েছেন। তবে সাইড লাইনে শীর্ষ নেতাদের একে অপরের সঙ্গে বৈঠক সদস্য দেশগুলো পারস্পারিক আলোচনা করে ঠিক করবে।
ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র জানায়, থাইল্যান্ডে বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সেখানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেখা হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তবে সম্মেলনের ফাঁকে ইউনূস-মোদি বৈঠকে বসবেন কি না, সেটি এখনো নিশ্চিত নয়।
এক প্রশ্নের জবাবে বিমসটেক মহাসচিব বলেন, সার্ক ও বিমসটেক দুটিই আঞ্চলিক সংস্থা। এই দুই সংস্থার সঙ্গে কোনো পারস্পারিক দ্বন্দ্ব নেই। একই দেশ একাধিক ফোরামে থেকে কাজ করতে পারে। একাধিক দেশ সার্ক ও বিমসটেকের সদস্য, আবার কেউ কেউ আসিয়ানের সদস্য। এ ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই।
অন্তর্বর্তী সরকার থেকে বিমসটেক সহযোগিতা পাচ্ছে বলে জানান মহাসচিব। তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে বিমসটেককে শক্তিশালী করতে কাজ করছে। সে অনুযায়ী বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার থেকে বিমসটেকে আমরা যথাযথ সহযোগিতা পাচ্ছি। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনকেও আমরা সম্মান করি।
এবি

যে কারণে নিউইয়র্কে হচ্ছে না ইউনূস-মোদি বৈঠক
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে না বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানিয়েছেন, মূলত এই দুই নেতা একই সময়ে নিউইয়র্কে উপস্থিত না থাকার কারণে তাদের সাক্ষাৎ হবে না।
তিনি বলেন, নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান, নেপাল, ইউরোপীয় কমিশনপ্রধান, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা নেই।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারতের সঙ্গে টানাপোড়েন চলছে, তা অস্বীকার করা যাবে না। সে টানাপোড়েন কাটিয়ে ওঠার জন্য আলোচনা হবে। এ বিষয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবো।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্যিক ফ্লাইটে নিউইয়র্ক যাবেন বলেও জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগদান করতে প্রধান উপদেষ্টা চার্টার্ড ফ্লাইটে নিউইয়র্ক যাবেন না। বাণিজ্যিক ফ্লাইটে যাবেন।’
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেন তাদের ভূমিকা শক্তভাবে পালন করে- বাংলাদেশ জাতিসংঘ অধিবেশনে সে আহ্বান জানাবে বলে জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
সংস্কার ও মানবাধিকার ইস্যুতে বাংলাদেশের অঙ্গীকার ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।
এবি

নিউইয়র্কে ইউনূস-মোদির বৈঠক আয়োজনে ঢাকার প্রস্তাব
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মাঝে বৈঠক আয়োজনে নয়াদিল্লিকে প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা। চলতি মাসের শেষের দিকে নিউইয়র্কে ওই বৈঠকের প্রস্তাব করা হলেও ভারত এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।
ড. ইউনূস-মোদির বৈঠকের প্রস্তাবের বিষয়ে অবগত সূত্রের বরাত দিয়ে শনিবার ভারতের ইংরেজি দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভারতীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, চলতি সপ্তাহের শুরুতে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মন্তব্য ঘিরে বৈঠকটি হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। সাক্ষাৎকারে ভারতে পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সীমান্ত হত্যা এবং তিস্তার পানি বণ্টনসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন ইউনূস। এসব বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান এই উপদেষ্টার মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি নয়াদিল্লি।
ওই সূত্র বলেছে, এই মাসের শেষের দিকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নেওয়ার জন্য নিউইয়র্কে যাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই অধিবেশনে যোগ দেবেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অধিবেশনের ফাঁকে দুই নেতার মাঝে একটি বৈঠক আয়োজনে ঢাকার পক্ষ থেকে নয়াদিল্লির কাছে প্রস্তাব করা হয়েছে। ভারতীয় পক্ষ এখন পর্যন্ত এই প্রস্তাবের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি এবং নিউইয়র্কে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য মোদির অ্যাজেন্ডাও এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
চলতি সপ্তাহে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) দেওয়া সাক্ষাৎকার বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যের সমালোচনা করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সাক্ষাৎকার তিনি বলেন, বাংলাদেশ তার প্রত্যর্পণ চাইতে পারে। একই সঙ্গে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ ব্যতীত অন্যান্য সব রাজনৈতিক দল ‘‘ইসলামপন্থী’’ বলে ভারতের যে ‘‘আখ্যান’’ রয়েছে, দেশটিকে সেটি থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।
পিটিআইকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘‘বাংলাদেশ শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়ার আগ পর্যন্ত ভারত যদি তাকে রাখতে চায়, তাহলে তাকে সেখানে চুপ থাকতে হবে। ভারতে বসে তিনি কথা বলছেন এবং নির্দেশনা দিচ্ছেন। দেশে এটা কেউ পছন্দ করছে না। এটা আমাদের বা ভারতের জন্য ভালো নয়।’’
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার এই মন্তব্যের বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে ভারতীয় ওই কর্মকর্তারা বলেছেন, এই ধরনের মন্তব্য সুসম্পর্কের জন্য সহায়ক নয়।
এফএস
আপনার অনুসন্ধানকৃত ডাটা খোঁজে পাওয়া যায়নি
