এইমাত্র
  • আ.লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা
  • মহানন্দায় দক্ষিণ এশিয়ার দশম বৃহত্তম রাবার ড্যাম নিমার্ণের কাজ শেষ পযার্য়ে
  • চুয়াডাঙ্গায় মাদ্রাসার শিশু ছাত্রকে বলাৎকারের অ‌ভি‌যোগ, শিক্ষক আটক
  • সাপের কামড়ে ১২ জন হাসপাতালে, আতঙ্কে সিলেটবাসী
  • সিলেট অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও কমেনি দুর্ভোগ
  • যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে সরকারি ওষুধ বঞ্চিত রোগীরা
  • টেকনাফ সীমান্তবাসীর চোখের ঘুম কেড়ে নিলো মিয়ানমার
  • নয়াদিল্লিতে শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা
  • প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের শিল্পপতিদের বৈঠক
  • সিলেটে চিনি ছিনতাইয়ের ঘটনায় পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি গ্রেপ্তার
  • আজ রবিবার, ৯ আষাঢ়, ১৪৩১ | ২৩ জুন, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক-পিকআপে বাড়ি ফিরছে ঘরমুখো মানুষ

    রাইসুল ইসলাম লিটন, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৪, ০৪:৩৫ পিএম
    রাইসুল ইসলাম লিটন, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৪, ০৪:৩৫ পিএম

    ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক-পিকআপে বাড়ি ফিরছে ঘরমুখো মানুষ

    রাইসুল ইসলাম লিটন, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৪, ০৪:৩৫ পিএম

    ঈদের বাকি আর মাত্র একদিন। তাই ঈদের আনন্দ পরিবার ও প্রিয়জনদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে ঝুঁকি নিয়ে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষজন। বাস ভাড়া বেশি হওয়ায় প্রচন্ড রোদকে উপেক্ষা করে ট্রাক-পিকআপের যাত্রী হয়ে গ্রামে যাচ্ছেন শিশু, বৃদ্ধ বয়সের নারী-পুরুষেরাও।

    শনিবার দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা বাস স্টেশন, রাবনা বাইপাস, আশেকপুর বাইপাস ও কালিহাতী উপজেলার সল্লা এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

    জহুরুল ইসলাম সিরাজগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে সন্তান ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে যাচ্ছেন। তিনি জানান, আমি চাকরি করি পোশাক কারখানায়। এবার বেতন-বোনাসসহ আমি ২০ হাজার টাকা হাতে পেয়েছি। ঢাকা আব্দুল্লাহপুর থেকে ২৫০ টাকা ভাড়ায় ব্যক্তিগত কাজে আশেকপুর বাইপাস এলাকাতে নেমেছি। আমি এ ঈদে স্বজনদের জন্য কেনাকাটায় ব্যয় করেছি ১২ হাজার টাকা। বাকি ৮ হাজার টাকা দিয়ে ঈদ খরচ ও ছুটি শেষে আমাকে ঢাকায় ফিরতে হবে। এ টাকা বাঁচাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকে করে এসেছি।

    আশেকপুর বাইপাস এলাকায় শাহেদ আলী জানান, ২৫০ টাকার বাস ভাড়া ৫০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। ঈদে বাড়ি ফিরতে হবে এ জন্য অতিরিক্ত ভাড়া নিলেও কিছু করার নেই। পরিবারের সাথে ঈদ করতেই হবে।

    শাহাদাত হোসেন নামের এক পিক-আপের যাত্রী জানান, ঢাকা থেকে বাসে দুইগুণেরও বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। এজন্য ঝুঁকি নিয়ে ৩০০ টাকা ভাড়া দিয়ে প্রচন্ড রোদে ট্রাকে এসেছি।

    ট্রাকচালক হাবিল মিয়া জানান, আমি মূলত বালু পরিবহন করি। এবার ঈদে গরু নিয়ে গাবতলী গরুর হাটে এসেছিলাম। ট্রাকে যাত্রী নেওয়ার কোন চিন্তা ভাবনা ছিল না। ফেরার পথে দুই যাত্রী থামিয়ে তাদের দুঃখের কথা জানান। এজন্য ফ্রিতে তাদের ট্রাকে উঠাই। পরে স্ট্যান্ডে এলাকায় আসামাত্র যাত্রীরা তাড়াহুড়ো করে ট্রাকে ওঠেন। নামতে বললে তারা আমার উপর রেগে উঠে বলেন, আমরা তো ফ্রিতে যাবো না, ভাড়া দিব। পরে ভাড়া মিটিয়ে রওনা করেছি।

    নাম প্রকাশ না শর্তে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একতা পরিবহনের এক বাস চালক জানান, ঈদের ছুটিতে যাত্রীদের চাপ ও মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। এ জন্য একটু বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে স্বীকার করেন তিনি।

    এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মীর সাজেদুর রহমান জানান, পিক-আপ ও খোলা ট্রাকের ছাদে করে যেন যাত্রী না নেয়া হয় সেজন্য বাঁধা দেয়া হচ্ছে। যারা কথা শুনছেন না তাদের বিরুদ্ধে মামলাও দেয়া হচ্ছে।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…