চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় হত্যার ভয় দেখিয়ে ১১ বছর বয়সী এক মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে ওই মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুস সালামকে (৩৫) আটক করে করেছে পুলিশ দিয়েছে এলাকাবাসী।
শনিবার (২২ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের আজিজুর উলুম কওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানা লিল্লাহ বোডিং থেকে পালানোর সময় ধাওয়া করে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করা হয়।
আটককৃত আব্দুস সালাম উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের আজিজুর উলুম কওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানা লিল্লাহ বোডিংয়ের শিক্ষক ও উপজেলার বাড়াদি ইউনিয়নের অনুপনগর গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে।
শিশুর পরিবারের সদস্যরা জানান, বলাৎকারের শিকার শিশুটিকে দুই বছর আগে উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের মুন্সিগঞ্জ এলাকার আজিজুর উলুম কওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানা লিল্লাহ বোডিংয়ে হেফজ শেখার জন্য ভর্তি করা হয়। গত ৭ মাস আগে ওই মাদ্রাসায় আব্দুস সালাম শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি বিভিন্ন সময় ওই শিশুকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এরমধ্যে ঈদুল আজহার ছুটি চলে আসে। এসুযোগে (১২ জুন) বুধবার রাতে ওই শিশুকে হত্যার হুমকি দিয়ে মাদ্রাসার এক কোনে তাকে জোরপূর্বক বলাৎকার করে। বিষয়টি কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখালে শিশুটি নীরব থাকে।
শনিবার বিকেলে নিজ বাড়ি থেকে ওই শিশুকে মাদ্রাসায় পাঠানোর চেষ্টা করে পরিবারের সদস্যরা। সে মাদ্রাসা যেতে রাজি হয় না। পরিবারের সদস্যরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে শিশুটি ঘটনাটি তার মাকে খুলে বলে।
শিশুটির পিতা বলেন, ছেলে ঈদুল আজহার ছুটি মাদ্রাসা থেকে ঘরে এসে জানায়, সে শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং তার সারা শরীর ব্যাথা। ব্যাথার কারণ জিজ্ঞাসা করলে প্রথমে সে চুপ থাকে, পরে মাদ্রাসায় যেতে চায় না। তাকে চাপ দিলে বাধ্য হয়ে ঘটনার বিস্তারিত খুলে বলে। শনিবার রাতেই বিষয়টি নিয়ে ওই শিক্ষকের নিকট জানতে গেলে সে দৌড়ে মাঠে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। পরে তাকে ধাওয়া করে ধরা হয়। খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা ও মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ উপস্থিত হলে তাদের নিকট সোর্পদ করা হয়। এ ঘটনায় শিশুর পিতা বাদি হয়ে শনিবার রাতেই আলমডাঙ্গা থানায় ধর্ষণ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়ার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
মুন্সিগঞ্জ ক্যাম্পের টু আইসি এএসআই ইকবাল হোসেন জানান, বলৎকারের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলার দায়েরের প্রস্ততি চলছে।