এইমাত্র
  • ফাইনালে যেতে ইংল্যান্ডকে ১৭২ রানের লক্ষ্য দিলো ভারত
  • ‘প্রিয় শখের পুরুষ, তুমি করো তোমার বিয়ে'
  • ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ পণ্ড হলে ফাইনাল খেলবে কারা?
  • আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তি পেল বাংলাদেশ
  • ধানে লোকসান, আখ চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন সালাম
  • ইঞ্জিন বিকল, ঢাকা সাথে উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল বন্ধ
  • শৈলকুপা থানায় হামলা মামলায় মেয়র পুত্র গ্রেফতার
  • করোনার পর মানুষের খরচ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে: মাস্টারকার্ড
  • ভারতে পাচার বাংলাদেশি যুবককে বেনাপোল দিয়ে হস্তান্তর
  • কাউখালীতে ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে হাইজিন কিট বিতরণ
  • আজ শুক্রবার, ১৪ আষাঢ়, ১৪৩১ | ২৮ জুন, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে সরকারি ওষুধ বঞ্চিত রোগীরা

    বিল্লাল হোসেন, যশোর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৪, ১১:০০ এএম
    বিল্লাল হোসেন, যশোর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৪, ১১:০০ এএম

    যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে সরকারি ওষুধ বঞ্চিত রোগীরা

    বিল্লাল হোসেন, যশোর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৪, ১১:০০ এএম

    যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে সরকারি ওষুধ সামগ্রী থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা। প্রতি অর্থ বছরে কোটি কোটি টাকার ওষুধ সামগ্রী কেনা হলেও তা রোগীরা সঠিকভাবে পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। বিগত দিনে সচেতন নাগরিক কমিটি ( সনাক) যশোর শাখার রিপোর্ট কার্ড জরিপেও ওষুধ বিতরণে অনিয়মের বিষয়ে উল্লেখ করেছেন একাধিকবার। রোগীদের মাঝে সরবরাহ না করে সরকারি ওষুধ সামগ্রী লোপাট করা হচ্ছে বলেও গুঞ্জন রয়েছে।

    জানা গেছে, চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারিভাবে এই হাসপাতালে ৮৪ প্রকারের ওষুধ সরবরাহ করার নির্দেশনা আছে। এর মধ্যে ইডিসিএল ৪৪ প্রকার ও স্বাস্থ্য অধিদফতর ও স্থানীয় অর্থে টেন্ডারের মাধ্যমে অবশিষ্ট ৪০ প্রকার ওষুধ কর্তৃপক্ষ ক্রয় করে। এছাড়া চিকিৎসা সামগ্রী তো আছেই। এরমধ্যে এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন সেফট্রিঅ্যাকসন, সেফ্রাডিন হাইড্রোকরটিসন,ওমিপ্রাজল, ম্যাট্রোনিডাজল ,ক্যাসিন, ক্যাপসুল সেফ্রাডিন, ক্লিনডামাইসিন, এমোক্সসাসিলিন,সেফিক্সিম, ক্লিনডামাইসিন, ওমেপ্রাজল ৪০এমজি ও নাভিতে দেয়া ইনজেকশন, ট্যাবলেট অ্যালবেনডাজল, কারভিস্টা, সেফুরএক্সিম, সিটিরিজিন,ইটোরাক,ইসোরাল, হিস্টাসিন,লপিরিল, লপিরিল প্লাস,লোসারটন,মন্টিলোকাস্ট, নেপরোস্কিন, অফলোক্সাসিন, প্যান্টোনিক্স, স্যালবোটল, রাবিপ্রাজল, কারভিস্টা, সিরাপ অ্যামব্রোক্স, বি-কমপ্লেক্স, সেফুরএক্সিম, ডমপেরিডন, লবুপ্রোফেন, ড্রপ সিপরোসিন, ক্যামিক্যাল রি এজেন্ট, অপারেশনের জন্য বিভিন্ন সুতা, সার্জিক্যাল গজ, ব্যান্ডেজ, ক্যাথেটার, মাইক্রোপর,জিপসোনা, সপ্টরোল, ক্রেপ ব্যান্ডেজ রোল, সার্জিক্যাল গ্লোপস, সোফরাটোলা, বালিশ, বালিশের কভার ,মশারী নেট, লংক্লথ কাপড়, ট্রেটন ক্লথ কাপড়, অ্যাডোমিনাল সিট উল্লেখযোগ্য।

    অনুসন্ধানকালে সার্জারি, মেডিসিন, হৃদরোগ, গাইনি, অর্থোপেডিকস, গাইনি, শিশু, পেইং, লেবার ওয়ার্ডের একাধিক রোগী ও তাদের স্বজনরা জানিয়েছেন, রোগীর চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল থেকে যৎসামান্য ওষুধ দেয়া হয়। প্রায় ওষুধ ও আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র বাইরে থেকে কিনে আনেন। সেবিকারা রোগীর স্বজনদের বলছেন এই ইনজেকশন সাপ্লাই নেই তাই ওষুধ দেয়া হচ্ছে না। যে কারণে সেফটিএক্সোন প্রতিটি ইনজেকশন ১ গ্রাম ১৯০ টাকা, ২ গ্রাম ২৯০ থেকে ৩শ টাকা ও ওমিপ্রাজল ইনজেকশন ৮০ টাকা দরে তারা বাইরে থেকে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। মূল্যবান এসব, ইনজেকশন কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন রোগীর স্বজনেরা। দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থা চললেও কর্তৃপক্ষের কোন মাথাব্যথা নেই। করোনারি কেয়ার ইউনিটে ভর্তি এক রোগীর স্ত্রী জানিয়েছেন, তার স্বামীকে ভর্তির পর অধিকাংশ ওষুধ বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়েছে। সরকারের বিনামুল্যের ওষুধ দেয়া হয়নি।

    শফিয়ার রহমান নামে একজন জানান, ঈদের কয়েক দিন আগে তার স্বজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোগীর চিকিৎসার জন্য সেফটিএক্সোন ও ওমিপ্রাজল ইনজেকশন বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়েছে। আরও অনেক রোগীর স্বজন একই কথা জানিয়েছেন। তারা আরও বলেছেন, শুনেছি হাসপাতালে সরকারের বিনামূল্যে সরবরাহকৃত অনেক ওষুধ রয়েছে। কিন্তু বিতরণ করা হয় কম। আর দামি ট্যাবলেট, ইনজেকশন ও স্যালাইনতো রোগীদের দেয়া হয় না বললেই চলে। জিজ্ঞাসা করলেই সেবিকারা বলেন, সঙ্কট চলছে নতুবা শেষ হয়ে গেছে।

    এনায়েতপুর গ্রামের বিলকিস বেগম জানান, তার মেয়েকে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করা হয়। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ৫ হাজার টাকারও বেশি ওষুধ সামগ্রী কিনতে হয়েছে। দামি সুতাই কিনতে হয় ৪ টি। তাহলে হাসপাতালের সরবরাহকৃত সুতা যায় কোথায় এমন প্রশ্ন তার।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সরকারি এ হাসপাতালে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত রোগীরাই ভর্তি হয় বেশি। আর্থিক সঙ্কটের কারণে তারা বেসরকারি হাসপাতালে যান না। তাদের ভরসা থাকে স্বল্প খরচে সরকারি হাসপাতালে সঠিক চিকিৎসা পাবেন। ওই সব রোগিরা হাসপাতালে ভর্তির পর পড়েন বেকায়দায়। মূল্যবান ওষুধ কিনতে গিয়ে রোগীর স্বজনেরা হাফিয়ে উঠছেন। তবে প্রভাবশালী বা প্রভাবশালী ব্যক্তির কোন রোগী ভর্তি হলে রয়েছে ভিন্নতা। চিকিৎসার জন্য প্রায় ওষুধ দেয়া হয় হাসপাতাল থেকে। অথচ গরিব রোগীরা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রতি অর্থ বছরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এমএসআরের ৬ গ্রুপের দরপত্রের মাধ্যমে তিন থেকে সাড়ে তিন কোটি টাকার ঔষধ পত্র, গজ ব্যান্ডেজ ও তুলা, লিলেন সামগ্রী , সার্জিক্যাল ও যন্ত্রপাতি, ক্যামিক্যাল রি এজেন্ট, গ্রুপ- আসবাব পত্র ও কিচেন সামগ্রী ক্রয় করেন। সরকারি এই মাল রোগীরা খুব বেশি না পেলেও হাসপাতালের একটি মহল লাভবান হচ্ছেন।

    হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আব্দুস সামাদ জানান, তার জানা মতে রোগীদের প্রচুর পরিমাণে সরকারি ওষুধ দেয়া হয়। এছাড়া বর্তমানে কোন ওষুধের সংকট নেই। রোগীরা কেনো ওষুধ পাচ্ছে না তা খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।

    পিএম

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…