অবশেষে গত তিন ধরে কক্সবাজার টেকনাফ সেন্টমার্টিন দ্বীপে আতঙ্ক ছড়ানো মিয়ানমারের নাফনদীর জলসীমায় অবস্থানকারী যুদ্ধ জাহাজ গুলো হঠাৎ করে উধাও হয়ে গেছে।
দ্বীপের বাসিন্দাদের কাছ থেকে তথ্য আরও জানা যায়, গত তিন দিন আগে দ্বীপের কাছাকাছি মিয়ানমার জলসীমায় অবস্থান নেওয়া যুদ্ধ জাহাজ গুলো শনিবার (১৫ জুন) সকাল থেকে দেখা যায়নি। পাশাপাশি দু'পক্ষের চলমান সংঘর্ষের তীব্রতা অনেকটা কমে গেছে। শনিবার সকাল থেকে শুনা যায়নি ওপার সীমান্তের গোলাগুলির বিকট শব্দ।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের মেম্বার খোরশেদ আলম সময়ের কন্ঠস্বরকে জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে মিয়ানমারের অংশে জাহাজ গুলো নোঙর করা ছিল। শনিবার সকালে দ্বীপের জেটি ঘাট থেকে দেখতে পাওয়া সেই জাহাজ গুলো আর দেখা যাচ্ছে না। হঠাৎ করে উধাও হয়ে গেছে। পাশাপাশি গত রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত ওপার সীমান্ত থেকে ভেসে আসা গোলাগুলির কোন শব্দ শুনা যায়নি যায়নি।
উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাত থেকে মিয়ানমার নৌবাহিনীর ৩টি যুদ্ধ জাহাজ সেদেশটির জলসীমায় অবস্থান করেছিল। এরপর দ্বীপের কাছাকাছি মিয়ানমার নাফনদীর জলসীমায় যুদ্ধ জাহাজ গুলো যখন নোঙর করা হয়। ঠিক তখন থেকেই টেকনাফ সীমান্তবর্তী ও সেন্টমার্টিন দ্বীপে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে বিরাজ করে আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে, সেন্টমার্টিন ইউপির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, মিয়ানমার জলসীমায় কয়েকটি যুদ্ধ জাহাজ গত দুদিন ধরে অবস্থান করেছিলো। তখন দ্বীপের বাসিন্দারা আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠার মধ্যে ছিল। আজ শনিবার সকাল থেকে সেন্টমার্টিনের নৌ-জেটিঘাট দ্বীপের বাসিন্দারা জাহাজ গুলো দেখতে পায়নি বলে আমাকে জানিয়েছে। হয়তো জাহাজ গুলো উক্ত জলসীমা থেকে সরিয়ে মিয়ানমারের অন্যত্র এলাকায় অবস্থান করেছে। তবে এ বিষয় গুলো নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমাদের জলসীমায় দায়িত্বে নিয়োজিত বাহিনীর সদস্যরা সদা জাগ্রত রয়েছে।
তিনি দু:খ প্রকাশ করে আরও বলেন, মিয়ানমার সীমান্তের ওপার থেকে গত কয়েক দিন আগে পর পর ৩/৪ বার বাংলাদেশ জলসীমায় চলাচলকারী ট্রলার ও স্পিডবোটকে টার্গেট করে লক্ষ্য গুলি ছোঁড়ার ঘটনা ঘটিয়েছে তারা। সেই কারনেই উক্ত দ্বীপে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে তখন দেখা দিয়েছিলো আতংক। এরপর তাদের জলসীমায় একাধিক যুদ্ধ জাহাজের অবস্থান নিয়েও দ্বীপের বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠার মাত্রা আরও বেড়ে গিয়েছিল বলেও জানান তিনি।
তবে এই বিষয়ে জানার জন্য কন্টাক নাম্বার ও ভয়েস মেসেজ পাঠানোর পরও টেকনাফ সীমান্তে ও জলসীমায় দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এআই