যশোরের বাঘারপাড়ায় নানীকে জখমের পর নাতনীকে (১৭) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৫ জুন) উপজেলার নারকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের ধুপখালী মাঠে এ ঘটনাটি ঘটে। ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রীকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার নানী বাঘারপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
ওই ছাত্রীর নানা জানিয়েছেন, ধুপখালী গ্রামের আব্দুল খালেক গংয়ের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। গত সপ্তাহে খালেক গং হামলা চালিয়ে তার ঘর বাড়ি ভাংচুর করাসহ ঘর থেকে ২ টি বাক্স লুট নিয়ে যায়। বাক্স দুটো রাখা ছিলো এলাকার ফারুকের বাড়ি।
তিনি আরও জানান, ঘটনার দিন ভোরে তার স্ত্রী ও মাদ্রাসা পড়ুয়া নাতনী বাক্স দুটো আনার জন্য ফারুকের বাড়ি যাচ্ছিলেন। এসময় বাড়ির পাশে মাঠের মধ্যে গেলে ধুপখালী গ্রামের মোজাম মন্ডলের ছেলে ও আব্দুল খালেকের ভাইপো ওবায়দুল্লাহর নেতৃত্বে মনিরুল, কহিনুর,শরিফুল ও তরিকুলসহ আরও কয়েকজন তাদের ওপর হামলা চালায়।
দুর্বৃত্তরা এ সময় তার স্ত্রীকে মারধরে জখমের পর নাতনীকে গণধর্ষণ করে। খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে বাঘারপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। চিকিৎসক তার স্ত্রীকে ভর্তি রেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য নাতনীকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। বর্তমানে সে গাইনী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ঘটনায় তিনি মামলা করবেন বলে জানান।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আব্দুস সামাদ জানান, ধর্ষণের শিকার হয়ে এক মাদ্রাসা ছাত্রী ভর্তি হয়েছেন। তার আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার পর ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এই বিষয়ে বাঘারপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন জানান, দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। যা মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছে। মাদ্রাসা ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমআর