মাস্টারকার্ড ইকোনমিক্স ইনস্টিটিউটের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, করোনার সময়ের পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষের যাবতীয় খরচ দ্বিগুণ হয়েছে। চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে বড় রকমের ব্যয়ের মুখোমুখি হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে মাস্টারকার্ড ইকোনমিক্স ইনস্টিটিউট (এমইএ) আয়োজিত বিশ্ব ও বাংলাদেশের অর্থনীতির দৃশ্যপট ও ঝুঁকি শীর্ষক এক সেমিনারে এসব তথ্য উঠে এসেছেে
মাস্টারকার্ডের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৮ শতাংশ হলেও, ২০২৫ সালে এটি কমে হবে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ।
২০২৪ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মূল্যস্ফীতির গড় দাঁড়াবে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ, যা ২০২৫ সালে কমে ৮ শতাংশ নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে মাস্টারকার্ড।
বর্তমানে ডলারের বিপরীতে টাকার কথা অবমূল্যায়ন যেভাবে চলমান আছে একইভাবে সামনের দিনগুলোতেও এই ঝুঁকি নিয়েই বাংলাদেশকে কাজ করতে হবে। তবে চলতি বছর মে মাসে চালু হওয়া ক্রলিং পেগ রেমিট্যান্স প্রভাব ও রিজার্ভের বর্তমান অবস্থাকে ইতিবাচক দিকে নিয়ে যাবে বলে সমীক্ষায় উঠে এসেছে।
করোনার সময়ের পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশের মানুষের গৃহস্থালি খরচ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী হওয়ার কারণে মানুষ হাসফাঁস করছে বলে জানায় এমইএ।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, আগামী বছর বৈশ্বিক জিডিপির বড় একটি অংশ নির্ভর করছে ভারত ও চীনের অর্থনীতির ওপর। যদিও চীনের জিডিপির প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমে এসেছে; তবে বৈশ্বিক জিডিপির এক তৃতীয়াংশ এখনও নির্ভর করছে এশিয়ার এ বৃহৎ অর্থনীতির দেশটির ওপর।
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার বৃদ্ধির কারণে বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির হার বাড়লেও এ বছরের শেষের দিকে এসে ফেডারেল রিজার্ভ সুদেরহার কমাতে পারে বলে ধারণা করছে মাস্টারকার্ড।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এমইএর প্রধান অর্থনীতিবিদ ডেভিড ম্যান। অনুষ্ঠানে দক্ষিণ এশিয়া ও বাংলাদেশের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিশ্ববাজারের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিবেশ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
এসএফ