শরীর ফিট রাখতে ও ওজন ঝরাতেই শুধু নয়, হার্ট ভালো রাখা থেকে শুরু করে একাধিক দিক থেকে হাঁটা খুবই উপকারি। সুস্থ থাকতে সুষম খাবার খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত হাঁটাহাঁটির পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তবে জানেন কি সুস্থতার জন্য দিনে কত মিনিট বা কত কিলোমিটার হাঁটা আদর্শ? দিনে কতগুলি স্টেপ হাঁটলে শরীর থাকে সুস্থ? দেখে নেওয়া যাক চিকিৎসকরা এই বিষয়ে কী বলছেন?
বেশ কিছু গবেষণাতে বলা হচ্ছে দিনে অন্তত ১০ হাজার স্টেপ হাঁটা খুবই জরুরি। এতে কার্ডিওভ্যাসকুলার স্বাস্থ্য থাকে ভালো। এতে ক্যানসার ও ডিমেনশিয়ার ঝুঁকিও কমে যায়। এদিকে, আরও এক নতুন গবেষণা দাবি করছে দিনে অন্ততপক্ষে ৭ হাজারটি স্টেপ হাঁটলে কম বয়সে মৃত্যুর ঝুঁকি কমে। বলা হচ্ছে, ব্যস্ততম জীবনধারায় ও সারাদিন বসে কাজের ফলে অন্ততপক্ষে ৫ থেকে ৭ হাজার স্টেপ হাঁটতেও অনেকে সমস্যাবোধ করেন।
দৈনিক হাঁটার আদর্শ সময়কাল বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে কমবেশি হতে পারে। যেমন আপনি নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য হাঁটলে এক রকম সময়কাল, আবার জীবনধারার অন্যান্য কারণের উপর নির্ভর করে অন্য রকম সময়কাল আপনার জন্য আদর্শ হতে পারে। তবে সাধারণভাবে সুস্থ থাকার জন্য সপ্তাহের বেশিরভাগ দিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট জোরে হাঁটার জন্য লক্ষ্য রাখা উচিত বলে মত দেন বিশেষজ্ঞরা। প্রতি সপ্তাহে ১৫০ মিনিট হাঁটলে সার্বিকভাবে সুস্থ থাকতে পারবেন, এমনটা বলছে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন এবং সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এর স্বাস্থ্য নির্দেশিকা।
হাঁটা শুরু করার পর প্রথমেই অনেকক্ষণ না হেঁটে অল্প অল্প করে সময়কাল বাড়ান। শুরুতে দৈনিক ২০ মিনিট, এরপর ৩০ মিনিট এভাবে হাঁটুন। যারা নিয়মিত হেঁটে অভ্যস্ত, তারা দীর্ঘ হাঁটা যেমন ৪৫ থেকে ৬০ মিনিট বা এর বেশি হাঁটতে পারেন।
প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ৩০০ মিনিট (৫ ঘন্টা) সক্রিয় থাকলে উপকারিতা পাবেন আরও বেশি- এমনটা বলছে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন।
হাঁটার উপকারিতা
কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য ভালো থাকে নিয়মিত হাঁটলে। হাঁটা হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি করে, রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
হাঁটা ক্যালোরি পোড়ায়। সুষম খাবার খাওয়ার পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময় হাঁটলে বাড়তি মেদ ঝরানো যায়।
পেশীর শক্তি এবং সহনশীলতা বাড়ায় হাঁটা। পায়ের পেশী শক্তিশালী করে, নমনীয়তা বাড়ায় এবং সামগ্রিক স্ট্যামিনা উন্নত করে হাঁটার অভ্যাস।
মানসিক সুস্থতাতেও অবদান রাখে হাঁটা। হাঁটলে এন্ডোরফিন হরমোন নিঃসৃত হয় যা মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতা কমায়।
এবি