পারিবারিক সমস্যাকে কেন্দ্র করে একটি পরিবারকে একঘরে করার অভিযোগ উঠেছে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে।
এর ফলে গত ২০ দিন ধরে মসজিদে নামাজ পড়া, বাচ্চার মক্তবে পড়তে যাওয়া নিষেধাজ্ঞায় পড়ে অমানবিক জীবন যাপন করছে। এমনকি, কেউ তাদের সাথে কথা বললেই পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করার বিধান করা হয়েছে।
পরিবারটির প্রধান অটোরিকশা চালক মইজ উদ্দিন বলেন, আমার অভাব-অনটনের সংসার। প্রায় সময়ই আমাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়ে থাকে। পারিবারিক সমস্যা তো প্রায় প্রতিটি ঘরেই কম বেশি থাকে। তাই বলে কাউকে এক ঘরে করে রাখার আইন আছে বলে তো শুনিনি। আমরা গরিব ও অসহায় বলে এই জুলুম চালানো হচ্ছে। কোরবানীর ঈদে আগে তারা আমাদের এক ঘরে করে দেয়। ঈদের সময় সমাজের কেউ আমাদের কোনো গোশত দেয়নি। এমনকি গরিব বলে সমাজ থেকে যে একটা ভাগ পাই, তা থেকেও তারা আমাদের বঞ্চিত করেছে। এই ঈদে আমি আমার সন্তানদের এক টুকরা গোশত কিনেও খাওয়াতে পারিনি।
ছেংগারচর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বোরহান উদ্দিন জানান, একঘরে করার কোনো নিয়ম নেই। আমি তাদের এক মাসের সময় দিয়ে এসেছি। কিন্তু ওই সমাজের লোকজন আমার কথা অমান্য করে এ কাজ করেছে।
মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, কোনো ব্যক্তি বা পরিবারকে একঘরে করে রাখা আইন বহির্ভূত কাজ। ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নিবেন বলেও জানান তিনি।
আরইউ