মিজু বাবা হারিয়েছে অনেক আগে। এরপর হারিয়েছে দু’চোখের এক চোখ। এখন ধিরে ধিরে কমে যাচ্ছে বাকি চোখের আলোটুকুও। যে চোখে একটু আলো আছে এখন সে চোখেও মিজু কোনরকম দেখতে পান।
ডাক্তার বলেছে এর চিকিৎসা আর বাংলাদেশে নেই। যেতে হবে ভারতে।
বাঁচার আশায় মিজু করেছে পাসপোট ও ভিসা। ভারতীয় ভিসা পাওয়ার ৩ মাস কেটে গেলেও এখনও টাকার অভাবে যেতে পারেনি ভারতে।
মিজুর বাড়ি কুড়িগ্রাম সদরের যতিনের হাট এলাকায়।
দ্রুত সময়ে ভারত না যেতে পাায় আস্তে আস্তে একটা সময় ডান চোখের আলো পুরো নিভে আসছে। মিজুর অর্ধেক দুনিয়া অন্ধকার হয়ে যায় বহু আগেই। এখন চোখের পুরো আলো নিভে যাওয়ার অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
কিন্তু মিজুর পরিবারে উপার্জনক্ষম ব্যক্তি বলতে মিজু নিজেই। মিজুর মা মিজুর জন্য সকলের হাত পা ধরে কান্নাকাটি করলেও কোন ফল না পেয়ে এখন শুধু আল্লাহকে ডাকেন।
মিজুর চোখের অপারেশনের জন্য এক লাখ ত্রিশ হাজার টাকার প্রয়োজন, মানুষের হাত পা ধরে গত কয়েকমাসে তারা যোগাড় করেছে ৭০ হাজার টাকা। আরও প্রয়োজন ৬০ হাজার টাকা। যা তাঁর পরিবারের পক্ষে জোগাড় করার সামর্থ্য নেই। চিকিৎসার জন্য সমাজের হৃদয়বান বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছেন মিজু ও তার মা।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ২১ তারিখ ভারতে মিজুর অপারেশনের তারিখ আছে।
মিজুর পাশে দাড়াতে মিজুর নিজস্ব মোবাইল: ০১৭৯৮৭৮৮৭৪৪। মিজুকে ভিডিও কলে দেখতে ০১৭১৩২০০০৯১ (হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর, সময়ের কন্ঠস্বরের প্রতিনিধি)
এফএস