এইমাত্র
  • টাকায় থাকছে না শেখ মুজিবের ছবি
  • নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণ তিন মাস পর: মাহফুজ আলম
  • আটাশির পর এমন বন্যা দেখেনি শেরপুরের মানুষ
  • কেরানীগঞ্জে গ্যাস সিলেন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ৩
  • সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ গ্রেপ্তার
  • এবার সংবিধান বাতিলের দাবি হাসনাত আবদুল্লাহর
  • বৃষ্টি হলেই রাস্তায় হাঁটুপানি, চরম ভোগান্তিতে কুমিল্লা নগরবাসী
  • পিরোজপুরে ৪৫৮টি মন্দিরে চলছে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি
  • নির্বাচন থেকে সংস্কার বেশি গুরুত্বপূর্ণ: জামায়াতের আমির
  • রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া পুলিশের সংস্কার হবে না: নুরুল হুদা
  • আজ রবিবার, ২০ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৬ অক্টোবর, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    শমশের আলীর মৃত্যুতে ভাই-ভাতিজার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

    আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৬ পিএম
    আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৬ পিএম

    শমশের আলীর মৃত্যুতে ভাই-ভাতিজার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

    আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৬ পিএম

    হৃদরোগ আক্রান্ত হয়ে একাধিকবার গিয়েছেন হাসপাতালে, ছিলেন নিবিড় পর্যবেক্ষণেও। হার্ডে রিং বসানোর কথা থাকলেও বসানো হয়নি এলাকায় ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার গুলগুলিয়ার চরের গ্রামের শমশের আলী। গত ১৪ আগস্ট ভাই ভাতিজাদের সাথে পারিবারিক কলহের জেরে নিজ বাড়িতে হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান শমশের আলী। তবে শমশের আলীর ছেলে-মেয়েদের দাবী তার পিতাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। পিতাকে হত্যার অভিযোগে আপন চাচা, চাচাত ভাইসহ ১১ জনকে আসামি করে মামলাও করেছেন আদালতে। তবে এলাকাবাসী বলছে ভিন্ন কথা!

    স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ১৪ আগস্ট সকালে ভাই হত্যা মামলার আসামী বড় ভাই আলমাস তার ছেলে ও ভাতিজারা মিলে ছোট ভাই শমশের আলীর বাড়িতে গিয়ে নিজেদের ক্রয় করা জমির হিস্যা চায়।

    এসময় দুই ভাই ও ভাতিজাদের মাঝে কথা কাটাকাটির জেরে ছোট ভাই শমশের আলী ক্রুদ্ধ হয়ে লাঠি আনতে ঘরে ঢুকে বেড় হওয়ার সময় স্ত্রী সন্তানের বাধার মুখে দরজার সামনেই হেলে পড়ে যায়। পরবর্তীতে সন্তান ও ভাতিজারা মিলে প্রথমে পাশ্ববর্তী কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে।

    স্থানীয় বাসিন্দা, স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে সেদিন আসলে কোন মারামারির ঘটনা ঘটেনি। হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন শমশের আলী।

    স্থানীয় দোকানদার মিন্নত আলীর বলেন, আমি দোকানেই বসা ছিলাম, শমশের আলীর ভাই, ভাতিজারা আমার দোকানের সামনে দিয়েই গেছে। যাওয়ার এক মিনিটের মাথায় নিহত শমশের আলী ছেলে ও ভাতিজা জানায় তিনি স্টোক করেছেন।

    মামলা সাক্ষী ও প্রতিবেশী জালালুদ্দিন বলেন, বাড়িতে কোন মারামারির ঘটনা ঘটেনি। এমনকি কারো হাতে লাঠিও ছিলো না। আরেক সাক্ষী নুরুল ইসলাম বলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলামনা, তবে লোক মুখে শুনেছি সেখানে কোন হাতাহাতির ঘটনা ঘটেনি, তিনি হৃদরোগে মারা গেছেন।

    মামলার অপর সাক্ষী আব্দুল কাদির জিলানীও বলেন, তিনি মারামারির কোট ঘটনা দেখেননি। তিনি যে মামলার সাক্ষী হয়েছেন পরবর্তীতে তিনি জেনেছেন।

    মামলার হুকুমের আসামি ও নিহতের বড় ভাই আলমাস বলেন, যে ভাইকে কোলে পিঠে করে মানুষ করেছি, কামাই করে মাদরাসায় পড়িয়েছি, তাকে আমি কি মেরে ফেলতে পাড়ি? আমার কি কষ্ট হচ্ছেনা ভাইয়ের মৃত্যুতে ? আমার ভাতিজারা সম্পদের জন্য এমন মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের কষ্ট দিচ্ছেন, মানহানী করছে। আমি সঠিক বিচার চাই।

    নিহতের মেয়ে সুমিতা জানান, লিয়াকত আলী,বিল্লাল, ইয়াছিন,আলমাসসহ অনেকে বাড়িতে এসে গলায় গামছা পেচিয়ে আমার বাবাকে হত্যা করেছে। আর নিহতের ছেলে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রচারের কিছু নেই বলে মন্তব্য করেন।

    সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার হাফিজুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে, যেহেতু ঘটনাটি আমার দায়িত্ব নেওয়ার আগের ঘটনা, তাই বিস্তারিত জেনে জানাতে হবে, তবে ময়নাতদন্ত শেষে যে রিপোর্ট পাওয়া যাবে, সে হিসেবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…