এইমাত্র
  • সাকিবকে একাদশে রেখেই মিরপুর টেস্টের দল ঘোষণা বিসিবির
  • যুব মহিলা লীগের সভাপতি তনু গ্রেফতার
  • কম্পিউটার কাউন্সিলে ৯ম থেকে ২০তম গ্রেডে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
  • প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চাকরি, নেবে ৫২ জন
  • সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর হওয়ার আহ্বান রিজভীর
  • আমি আয়নাঘরের কারিগর নই: জিয়াউল আহসান
  • ‘নেতানিয়াহুর মনে রাখা উচিত জাতিসংঘের সিদ্ধান্তেই ইসরাইলের জন্ম’
  • সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত ৬ মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে
  • ভূমধ্যসাগর থেকে আলবেনিয়ায় নেয়া হচ্ছে বাংলাদেশিসহ ১৬ অভিবাসীকে
  • বাংলাদেশের জলসীমায় ইলিশ ধরায় ৩১ ভারতীয় জেলে আটক
  • আজ বুধবার, ১ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৬ অক্টোবর, ২০২৪
    আন্তর্জাতিক

    এবার কানাডা-ভারত কূটনৈতিক টানাপোড়েনে মুখ খুলল যুক্তরাষ্ট্র

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪৯ পিএম
    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪৯ পিএম

    এবার কানাডা-ভারত কূটনৈতিক টানাপোড়েনে মুখ খুলল যুক্তরাষ্ট্র

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪৯ পিএম

    শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যা নিয়ে বর্তমানে কানাডা-ভারত সম্পর্ক তলানিতে। কানাডার ভিতরে ভারতীয় এজেন্টদের অবস্থান নিয়ে সরব কানাডা।

    কানাডা সরকারের অভিযোগ, সে দেশে অবস্থানরত ভারতীয় প্রতিনিধিরা এমন সব কর্মকাণ্ডে জড়িত রয়েছেন; যা কানাডার নাগরিকদের নিরাপত্তা হুমকিতে ফেলছে।অভিযোগের জের ধরে কানাডায় খালিস্তানপন্থি শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যা মামলায় ভারতীয় হাইকমিশনার সঞ্জয় কুমার বর্মাকে ‘স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি’ বলে উল্লেখ করেছে কানাডা সেই সাথে কানাডা সরকার ভারত সরকারের ৬ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে। এতে চরম প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে ভারত সরকার কানাডার ৬ কূটনীতিককে গতকাল বহিষ্কার করেছে। সেই সাথে ভারত সরকার কানাডা থেকে তার হাইকমিশনার ও অন্যান্য কূটনীতিক ও কর্মকর্তাদেরও প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। ফলে কানাডা এবং ভারত দুই দেশই নিজেদের দেশ থেকে অন্য দেশের ছয়জন করে কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে।

    তবে দেশটির মধ্যে চলমান কূটনৈতিক উত্তেজনায় অবশেষে মুখ খুলল যুক্তরাষ্ট্র। কানাডার অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিতে ভারতকে আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। বিশ্ব রাজনীতিতে কানাডা ও ভারত—দুটি দেশই যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হিসেবে পরিচিত। খবর হিন্দুস্তান টাইস।

    স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, কানাডার বিষয়ে, আমরা স্পষ্ট করেছি যে তাদের অভিযোগগুলো অত্যন্ত গুরুতর এবং সেগুলো গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত। আমরা চাই ভারত সরকার এই তদন্তে কানাডার সঙ্গে সহযোগিতা করুক।

    আরেক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, আমরা তাদের সাহায্য চেয়েছি এবং অবশ্যই, তারা তা করেনি। বরং তারা ভিন্ন পথ বেছে নিয়েছে।

    নিজ্জর নিহত হওয়ার পর ২০২৩ সালে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সে দেশের সংসদে ওই হত্যার সঙ্গে ভারত জড়িত বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। এ নিয়ে তখন থেকেই দুই দেশের সম্পর্কে ব্যাপক অবনতি হয়। এমনকি ভারত থেকে কানাডার কয়েক ডজন কূটনৈতিককে প্রত্যাহার করতে চাপ দেয় নয়াদিল্লি। এ ছাড়া কানাডার নাগরিকদের জন্য ভিসা সেবা স্থগিত করে দেয় ভারত সরকার।

    এছাড়া কানাডার অভিযোগ, এক বছর আগে কানাডার শিখ নাগরিকহরদীপ সিং নিজ্জর খুনের ঘটনায় যে ভারতীয় এজেন্টরা জড়িত ছিল, তা এখন স্পষ্ট। তদন্তে বিষয়টি উঠে এসেছে। বস্তুত, প্রমাণ হাতে আসার পরেই ছয় ভারতীয় কূটনীতিককে দেশের ফেরানোর নির্দেশ দেয় কানাডার প্রশাসন।

    সোমবার (১৪ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো বলেছেন, 'সার্বভৌম কানাডার মাটিতে হামলার ঘটনায় কূটনীতিক এবং এজেন্টদের ব্যবহার করে ভারত মস্ত বড় ভুল করেছে।' প্রধানমন্ত্রীর কথায়, 'রয়্যাল মাউন্টেড পুলিশের তদন্তে স্পষ্ট ওই ঘটনায় ভারতীয় কূটনীতিক এবং এজেন্টরা যুক্ত ছিল।' ট্রুডো জানিয়েছেন, কানাডার মাটিতে কানাডার নাগরিকদের সুরক্ষা দেওয়া তার প্রথম এবং প্রাথমিক কর্তব্য। দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা তার কাজ। অন্য কোনো দেশ তার দেশে এসে হত্যার ঘটনা ঘটাবে, তা তিনি কোনোভাবেই মেনে নেবেন না।

    কানাডার এই পদক্ষেপের পর জবাব দিয়েছে দিল্লি। ভারতেরতরফে বলা হয়েছে, কানাডার মন্তব্য ভিত্তিহীন। ভারত বার বার তাদের কাছে তথ্যপ্রমাণ চেয়েছে। কিন্তু কানাডা এখনো পর্যন্ত তা দিতে পারেনি। রাজনৈতিক কারণে কানাডা এই মন্তব্য করছে বলেও অভিযোগ করেছে ভারত। কানাডার পদক্ষেপের পাল্টা জবাব দিতে ভারতও দেশ থেকে কানাডার ছয় কূটনীতিককে শনিবারের মধ্যে দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

    এদিকে , চলতি বিতর্কে ভারত-কানাডার বাণিজ্য সম্পর্ক ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে অনেকেই মনে করেছিলেন। কিন্তু সোমবার ক্যানাডার বাণিজ্যমন্ত্রী মেরি এনজি জানিয়েছেন, কূটনৈতিক স্তরে যতই বিতর্ক থাক, দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্কে তার প্রভাব এখনো পড়েনি।

    তার কথায়, ‘ভারতের সঙ্গে যারা ব্যবসায়িক সম্পর্কে জড়িত, তাদের সরকার সবরকম সাহায্য করবে, যাতে বাণিজ্যে কোনো ক্ষতি না হয়।’

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে কানাডায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন খালিস্তানপন্থী নেতা নিজ্জর। তিনি ভারতের পাঞ্জাবে শিখ সম্প্রদায়ের জন্য ‘খালিস্তান’ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে ছিলেন। নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই এর সঙ্গে ভারতের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে আসছিলেন ট্রুডো। তবে সে অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেছে ভারত সরকার।

    এবি

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…