এইমাত্র
  • ঢাবি এলাকা ঘুরে বিপ্লবীদের গ্রাফিতি দেখলেন ড. ইউনূস
  • জাতীয় ৮ দিবস বাতিলের বিষয়ে আওয়ামী লীগের বিবৃতি
  • সাকিবকে একাদশে রেখেই মিরপুর টেস্টের দল ঘোষণা বিসিবির
  • যুব মহিলা লীগের সভাপতি তনু গ্রেফতার
  • কম্পিউটার কাউন্সিলে ৯ম থেকে ২০তম গ্রেডে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
  • প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চাকরি, নেবে ৫২ জন
  • সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর হওয়ার আহ্বান রিজভীর
  • আমি আয়নাঘরের কারিগর নই: জিয়াউল আহসান
  • ‘নেতানিয়াহুর মনে রাখা উচিত জাতিসংঘের সিদ্ধান্তেই ইসরাইলের জন্ম’
  • সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত ৬ মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে
  • আজ বুধবার, ১ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৬ অক্টোবর, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    বিলুপ্তির পথে গ্রামীণ ঐতিহ্যের বাঁশের তৈরি পণ্য

    মাহমুদুর রহমান, বরগুনা প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৪৭ পিএম
    মাহমুদুর রহমান, বরগুনা প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৪৭ পিএম

    বিলুপ্তির পথে গ্রামীণ ঐতিহ্যের বাঁশের তৈরি পণ্য

    মাহমুদুর রহমান, বরগুনা প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৪৭ পিএম

    গ্রামীণ জনপদে বাঁশ শিল্প এখন তেমন চোখে পড়ে না। বাঁশের দাম বেড়ে যাওয়ায় এর থেকে তৈরি বিভিন্ন পণ্যের দাম দিনদিন বাড়ছে। তাই বাঁশের তৈরি পণ্যের কদরও কমে যাচ্ছে গ্রামগঞ্জে। যুগ যুগ ধরে গ্রাম কিংবা শহরে গৃহস্থালির পাশাপাশি বিবাহ অনুষ্ঠান, মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত হত বাঁশের তৈরি নানান রকমের পণ্য। আধুনিকতার ছোঁয়ায় এবং প্লাস্টিকের তৈরি পণ্যের ভীড়ে বিলুপ্তির পথে এখন বাঁশের তৈরি করা সামগ্রী। উৎপাদন খরচের চেয়ে বাঁশের দাম বৃদ্ধি এবং বাজারে চাহিদা কম থাকায় এই কুটির শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা ধুকছে অর্থনৈতিক সমস্যায়।

    একসময়ে গৃহস্হালির কাজে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতো বাঁশের তৈরি বিভিন্ন পণ্য। কুলা, চালন, ঝুড়ি, সাজি, ধান রাখার পাত্র বৃহৎ আকারে তৈরি করা হত ডোলা, ফুলের চাক, দৈনন্দিন ব্যবহার করা বিভিন্ন জিনিস রাখার জন্য ডালা, হাস মুরগী পালনের জন্য আউফরা, ধান বাছার চালন, খই বাছার চালন, মুড়ি ভাজার চালন, কবুতর পালনের ছোট ছোট ঘর, মাছ ধরার খাড়ওই, মাছ ধরার পোলোসহ বাহারি টেকসই পণ্যের বাজার দখল করে নিয়েছে প্লাস্টিকের তৈরি করা পণ্যে।

    বরগুনা শহরের সাহা পট্টি এলাকায় শত বছর ধরে কেনা বেচা চলছে বাঁশ দিয়ে তৈরি নানান রকমের পণ্য। সপ্তাহের প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার হাটের দিন এসকল পণ্যের সমাহার বসে এখানে। এই বাজারে সোনাখালী গ্রামের মোঃ আলতাফ হোসেন গত ষাট বছর ধরে বিক্রি করছে নানান সব বাঁশের তৈরি পণ্য।

    তিনি বলেন, একসময় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এপণ্য বিক্রি করতাম। কোন কোন সময় রাতও হয়ে যেত। আর এখন কোন বেচা কেনা নেই। মানুষজন এখন প্লাস্টিকের মালামাল কিনে নিয়ে যায়। অল্প কয়েকজন আসে এই বাজারে।

    পাথরঘাটা উপজেলার কালীবাড়ির সুরেশ মন্ডল বলেন, গত পঞ্চাশ বছর ধরে সাজি, ঝুড়ি, কুলা, ডালা বিক্রি করে আসছি। এখন আর আগের মতো বেচা কেনা নেই। আয় রোজগারও নেই। এই বয়সে অন্য কোন পেশায় যাবো তারো সুযোগ নেই। যতদিন পারি ততদিন এই পেশা থাকবো। বর্তমান সময় ধানের মৌসুম এই মৌসুমে দেখা যে বাঁশের তৈরি সামগ্রী বিক্রি করতাম অনেক। কিন্তু বর্তমান সময়ে কোন চাহিদা নেই।

    এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের মনসাতলী গ্রাম থেকে শাহজাহান মিয়া ধান বাছানো চালন কিনতে এসে বলেন, গ্রামের বাজারে এখন আর এগুলো মেলেনা। আজকে হাটের দিন তাই বরগুনা আসলাম চালন কিনতে।

    বাঁশের তৈরি করা পণ্যের বাজারে গত ত্রিশ বছর ধরে শিপেরখাল গ্রামের ইজারাদার আলমগীর বলেন, আগে ডাক পাঁচ লাখ টাকায় নিলেও দুই লাখ টাকা ব্যবসা থাকতো, এখন দুই লাখ টাকা ডাক নিলে ত্রিশ হাজার টাকাও ব্যবসা হয়না। ভেকু দিয়ে মাটি কাটার ফলে মাটি কাটার ঝুরি বিক্রি না।

    এছাড়া বাঁশের তৈরি সকল মালামালের বেচা বিক্রি এতো কমে গেছে যে শিল্পেটি ভবিষ্যতে বিলুপ্তি হয়ে যাবে।

    এআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…