তিনি জানতেন না স্ট্রেচারে পড়ে থাকা রক্তাক্ত কাফনের কাপড়ে মোড়ানো মৃতদেহটি তাঁর মায়ের। তাই কাফনের কাপড় সরাতেই দুঃসহনীয় মর্মান্তিক দৃশ্যের সাক্ষী হলেন আবেদ বারদিনি নামে ফিলিস্তিনি এক অ্যাম্বুলেন্স কর্মী। ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হন তাঁর মা সামিরা বারদিনি। দেখার আগ পর্যন্ত এ সম্পর্কে কোনো খবরই পাননি তিনি।
কাফনে মোড়ানো নিজের মাকে দেখে চিৎকার করে ওঠেন তিনি। বলেন, ওহ্ খোদা! শপথ করে বলছি, তিনি আমারই মা। না দেখলে কখনও জানতেই পারতাম না। এ দৃশ্য দেখে স্ট্রেচারের পাশেই কান্নায় ভেঙে পড়েন আবেদ। ঘটনাস্থল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে রক্তে রঞ্জিত মৃতদেহটি যখন আল-বালাহের আল-আকসা শহীদ হাসপাতালের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন তার পাশেই বসেছিলেন তিনি। তবে জানতেন না, কাফনে মোড়ানো মৃতদেহটি তাঁর মায়ের।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, মাগাজি শরণার্থী শিবিরের কাছে একটি গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে তিন ব্যক্তি নিহত হন। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন সামিরা বারদিনি। যিনি প্রথমে গুরুতর আহত হয়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, উদ্ধারের আগেই মারা যান ৬১ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি ওই নারী। ঘটনাস্থলে পাঠানো দুটি অ্যাম্বুলেন্সের একটিতে ছিলেন আবেদ।
এদিকে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মার্কিন দূত আমোস হোচস্টেইন বুধবার তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। এই ফোনালাপে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই ইসরায়েল-হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি সম্ভব। ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছেন মার্কিন মধ্যস্থতাকারীরা।
হিজবুল্লাহর নতুন প্রধান নাইম কাশেম বলেছেন, সুনির্দিষ্ট শর্ত পূরণের ভিত্তিতে তারা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হতে পারেন। হিজবুল্লাহর ঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্রমাগত ইসরায়েলি বোমা হামলা চলার মধ্যে বুধবার এ কথা বলেছেন কাশেম।
অন্যদিকে, গত সপ্তাহে চালানো বিমান হামলার জবাবে ইসরায়েলে ইরানের পাল্টা হামলা চালানো উচিত নয়। তবে যদি তারা তা চালায়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সর্বাত্মক সহায়তা করবে। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে কথাগুলো বলেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কিরেন জিন-পিয়েরে। খবর এপি ও আলজাজিরার।
এসএফ