ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় বাসের ধাক্কায় ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহতের ঘটনায় প্রেস ব্রিফিং করেছে হাসাড়া হাইওয়ে থানা পুলিশ।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে হাসাড়া হাইওয়ে থানার হলরুমে প্রেসব্রিফিং করেছেন গাজীপুর রিজিয়নের হাইওয়ে পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি ড.আ.ক.ম আক্তারুজ্জামান বসুনিয়া।
এসময় এডিশনাল ডিআইজি ড.আ.ক.ম আক্তারুজ্জামান বসুনিয়া বলেন, মর্মান্তিক এরকম দুর্ঘটনা যাতে আর না ঘটে এই জন্য বাস মালিক, চালকসহ আমাদের পুলিশেরও আরো সচেতন হতে হবে। যদি আমাদের পুলিশেরও কোন অবহেলা থাকে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিব। তিনি আরো বলেন, এসব দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য আমরা ইতিমধ্যে কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি,আশা করি আমরা এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে সক্ষম হব। গ্রেফতারকৃত মালিক ও চালককে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠাবেন বলেও জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাসাড়া হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী , সার্জেন জুয়েল হোসেন, হাসড়া হাইওয়ে থানার এসআই রহমান মিয়া, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, গেলো শুক্রবার ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের দক্ষিন কেরানীগঞ্জের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি গাড়িতে ধাক্কা দেয় যাত্রীবাহী একটি বাস। এতে একই পরিবারের ৪জনসহ দুটি গাড়ির ৬ আরোহী নিহত ও চারজন আহত হন। যাত্রীবাহী বাসের চালক মোহাম্মদ নূরু উদ্দিন ‘কৌশলে’ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। গেলো শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে চালক মোহাম্মদ নূরু উদ্দিনকে র্যাব-১০ তাঁকে আটক করে। শনিবার দিবাগত রাতে মাদারীপুরের শিবচর থেকে বেপারী পরিবহনের মালিক ডাব্লিউ ব্যাপারীকে গ্রেপ্তার করেছে হাসাড়া হাইওয়ে পুলিশ।
নিহত ব্যক্তিরা হলেনো, মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কোলা ইউনিয়নের নন্দনকোনা গ্রামের বাসিন্দা ও দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেট কারের মালিক নুর আলমের স্ত্রী আমেনা আক্তার (৪০), তাঁর বড় মেয়ে ইসরাত জাহান (২৪), ছোট মেয়ে রিহা মনি (১১), ইসরাত জাহানের ছেলে আইয়াজ হোসেন (২), মোটরসাইকেলের চালক সুমন মিয়ার স্ত্রী রেশমা আক্তার (২৬) ও তাঁর ছেলে মো. আবদুল্লাহ (৭)।
এমআর