এইমাত্র
  • আদালতের নথি গায়েবের ঘটনা ষড়যন্ত্র কিনা খতিয়ে দেখা দরকার: বার সভাপতি
  • শেখ হাসিনার ওপর রাগ লাগে না আপনার?
  • এবার ভারতে এইচএমপিভি ভাইরাসের হানা
  • টস জিতে সিলেটকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো রংপুর
  • চীনের নতুন ভাইরাস এইচএমপিভি এবার মালয়েশিয়ায়, দ্রুত ছড়ানোর শঙ্কা
  • স্বামী ধূমপান করায় অভিমানে স্ত্রীর আত্মহত্যা
  • ৪ দিনে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২৭৬৫ কোটি টাকা
  • পাসপোর্টে এখনই বাতিল হচ্ছে না পুলিশ ভেরিফিকেশন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • ভারতের ছত্তিশগড়ের ‘সাহসী’ সাংবাদিকের লাশ মিলল সেপটিক ট্যাংকে
  • ‘ডিবি অফিসে আর কোনো ভাতের হোটেল বা আয়নাঘর থাকবে না’
  • আজ সোমবার, ২৩ পৌষ, ১৪৩১ | ৬ জানুয়ারি, ২০২৫
    আন্তর্জাতিক

    রাজনৈতিক সংকটে দক্ষিণ কোরিয়া

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:০৭ পিএম
    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:০৭ পিএম

    রাজনৈতিক সংকটে দক্ষিণ কোরিয়া

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:০৭ পিএম

    দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে গ্রেফতারে ব্যর্থ হওয়ার পর দেশটির রাজনৈতিক নেতৃত্বে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

    শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সিউলে ইউনকে গ্রেফতার করতে তার বাসভবনে প্রবেশের চেষ্টা করে পুলিশ। তবে প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তাকর্মীদের বাধার মুখে পিছু হটতে বাধ্য হন তদন্ত কর্মকর্তারা। বাড়ির বাইরে নিরাপত্তা দলের সঙ্গে ৬ ঘণ্টার নানা নাটকীয়তার পর ইউন সুক-ইওলকে গ্রেফতারের চেষ্টা স্থগিত করেছেন তারা। এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। খবর আরব নিউজের।

    উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি তদন্তের দায়িত্বে থাকা দ্য করাপশন ইনভেস্টিগেশন অফিস ফর দ্য হাই-র‌্যাঙ্কিং অফিশিয়ালস (সিআইও) কর্মকর্তারা ইউনকে গ্রেফতারে তদন্তকারীদের একটি যৌথ দলের নেতৃত্ব দেন। এই দলের মধ্যে পুলিশ এবং প্রসিকিউটররাও রয়েছেন।

    সিআইও এক বিবৃতিতে বলেছে, চলমান অচলাবস্থার কারণে অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ে। মূলত এদিন ইউনকে গ্রেফতারে বাধা দেয় প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বাহিনী পিএসএস। এছাড়া সামরিক বাহিনীর সদস্যরাও গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকরে বাধা হয়ে দাঁড়ান। অন্যদিকে ইউনের গ্রেফতার ঠেকাতে প্রেসিডেন্টের বাসভবনের বাইরে অবস্থান নেন তার শত শত সমর্থক। এমন অবস্থায় ইউনকে গ্রেফতারের প্রচেষ্টা ঘিরে নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়। কয়েক ঘণ্টা ধরে এই অচলাবস্থা চলে।

    পরে তদন্তকারীরা ইউনকে গ্রেফতারের প্রচেষ্টা থেকে সরে আসেন। একপর্যায়ে প্রেসিডেন্টের বাসভবন কমপ্লেক্স ত্যাগ করেন তারা।

    ইওলকে গ্রেফতারের চেষ্টাকারী তদন্ত দলের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, একটি স্থবিরতা ছিল। আমাদের প্রায় ২০০ কর্মীকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। বিষয়টিকে বিপজ্জনক পরিস্থিতি বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

    তদন্তকারীরা চলে গেলে প্রেসিডেন্টের বাসভবনের বাইরে অবস্থান নেয়া ইউনের সমর্থকদের উল্লাস করতেও দেখা যায়। ডিসেম্বরের শুরুতে আকস্মিকভাবে সামরিক আইন জারির ঘোষণা দিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর কয়েকদিনের মধ্যে ইউন সুক ইওলকে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে অভিশংসিত ও পরে বরখাস্ত করা হয়। পরে গত ৩০ ডিসেম্বর ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

    ইউনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের যে ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে তা প্রমাণিত হলে শাস্তি হিসেবে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে।

    স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ায় বর্তমান কোনো প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এটিই প্রথম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হলো।

    দেশটির বার্তাসংস্থা ইয়োনহাপ সিআইওকে উদ্ধৃত করে বলেছে, বর্তমান এই গ্রেফতারি পরোয়ানা ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে এবং এটি প্রয়োগ করা হলে ইউনকে সিউল ডিটেনশন সেন্টারে আটক রাখা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    দুর্নীতি তদন্ত অফিসের (সিআইও) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউনের দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং তাকে গ্রেফতার করার জন্য আরেকটি সামরিক আদেশ জারি হতে পারে। আগামী ১৪ জানুয়ারি ইউনের বিচার শুরুর তারিখ নির্ধারণ করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবিধানিক আদালত। যদি তিনি আদালতে উপস্থিত না হন তবে তার অনুপস্থিতিতে চলবে বিচারকাজ চলবে।

    দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট রোহ মু-হিউন এবং পার্ক গিউন-হে তাদের অভিশংসনের বিচারে আদালতে উপস্থিত হননি। ইউনকে গ্রেফতারের প্রচেষ্টাকে বেআইনি এবং অবৈধ বলে নিন্দা করেছেন তার আইনজীবীরা। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা।

    বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বরখাস্ত হওয়া প্রেসিডেন্টকে আবার গ্রেফতার করার চেষ্টা করার আগে তদন্তকারীরা আইনি বৈধতার জন্য অপেক্ষা করতে পারে। কিউং হি ইউনিভার্সিটির হিউম্যানিটাস কলেজের চে জিন-ওন সংবাদমাধ্যম এএফপিকে বলেছেন, সাংবিধানিক আদালত অভিশংসন প্রস্তাবের ওপর বিধিনিষেধ না দেয়া পর্যন্ত গ্রেফতার করা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।

    দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যম জানিয়েছে, সিআইও কর্মকর্তারা ইউনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিউলের কাছে গওয়াচিওনে অবস্থিত তদন্ত অফিসে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। দক্ষিণ কোরিয়ায় রাজনৈতিক অচলাবস্থা সত্ত্বেও ৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারি করেন ইউন। তিনি তার সমর্থকদের বলেছিলেন, শেষ পর্যন্ত লড়াই করবেন। কয়েক সপ্তাহের রাজনৈতিক অস্থিরতা দক্ষিণ কোরিয়ার স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।

    রাজনৈতিক একটি স্থিতিশীল পথ তৈরির দিকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধান নিরাপত্তা মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। আগামী সোমবার সিউলে দেশটির রাজনৈতিক সংকট এবং পারমাণবিক সশস্ত্র প্রতিবেশী দেশ উত্তর কোরিয়াকে নিয়ে আলোচনায় বসতে চলেছেন বিদায়ী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

    ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি জানিয়েছেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য দক্ষিণ কোরিয়া ওয়াশিংটনের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।যেকোনো বহিরাগত উস্কানি বা হুমকির জবাব দেয়ার জন্য তারা প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…