ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে পূর্বাচলে ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেয়ায় শেখ হাসিনা ছাড়াও তার বোন শেখ রেহানা, বোনের ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরমধ্যে আসামি হিসেবে আছেন শেখ রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকও।
আজ সোমবার (১৩ জানুয়ারি) পৃথক এ তিনটি মামলা করে দুদক। এরমধ্যে একটিতে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাসহ ১৫ জন এবং অন্য দুটি মামলায় ১৬ জন করে আসামি রয়েছেন।
এর আগে রবিবার (১২ জানুয়ারি) ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে পূর্বাচলে ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেয়ায় শেখ হাসিনা ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৫টি ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে এ মামলা করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ক্ষমতার অপব্যবহার ছাড়াও বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে শেখ হাসিনা নিজ নামে ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের কূটনৈতিক জোনের ২০৩ নম্বর রোড থেকে ১০ কাঠা করে মোট ৬০ কাঠার ৬টি প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন।
শেখ হাসিনা ছাড়াও দুদকের করা প্রথম মামলাটির আসামিরা হলেন, তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, একই মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, প্রতিষ্ঠানটির সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস ও সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন।
এছাড়াও মামলার অপর আসামিরা হলেন, রাজউকের সাবেক সদস্য (উন্নয়ন) অবসরপ্রাপ্ত মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, উপপরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-৩) মো. হাফিজুর রহমান, রাজউকের এস্টেট ও ভূমি-৩ এর উপপরিচালক (চ.দা.) হাবিবুর রহমান, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম এবং সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মো. নুরুল ইসলাম।
এবি