এইমাত্র
  • পদত্যাগ করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক
  • জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা-তারেকসহ সব আসামি খালাস
  • দর্শনা বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আসলো ২৪শ' মেট্রিক টন চাল
  • বিশ্বের ১২৫ শহরের মধ্যে ঢাকা শীর্ষ দুইয়ে
  • আলেমদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতান্ত্রিক দেশ গড়তে হবে: টুকু
  • সেন্টমার্টিনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, দুটি রিসোর্ট পুড়ে ছাই
  • পদত্যাগপত্রে যা লিখেছেন টিউলিপ সিদ্দিক
  • সুইজারল্যান্ডে যাচ্ছেন ড. ইউনূস
  • ভারতীয়দের ভিসা প্রদানে কড়াকড়ি আরোপ সৌদির
  • জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক বৃহস্পতিবার
  • আজ বুধবার, ২ মাঘ, ১৪৩১ | ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    ভোলায় মৎস্য ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ভিজিডির চাল আটক

    এস আই মুকুল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ভোলা প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৩২ পিএম
    এস আই মুকুল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ভোলা প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৩২ পিএম

    ভোলায় মৎস্য ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ভিজিডির চাল আটক

    এস আই মুকুল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ভোলা প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৩২ পিএম

    ভোলার চরফ্যাসনে শশীভূষণ থানার চর কলমী ইউনিয়নের মাহাবুবুল নামের এক মৎস্য ব্যবসায়ীর বসত ঘর থেকে ৬ বস্তা ভিজিডির সরকারী চাল আটক করেন স্থানীয়রা। পরে স্থানীয়রা থানা পুলিশসহ ইউপি সচিব ও প্রশাসককে জানালেও ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে চালগুলো জব্দ করেননি।

    সোমবার রাতে চরকলী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৎস্য ব্যবসায়ী মাহাবুবুলের বসতঘর থেকে চালগুলো আটক করা হয়। কর্মকর্তারা দাবী করেন ওই চালগুলো মৎস্য ব্যবসায়ী মাহাবুবুল কার্ডধারীদের কাছ থেকে কিনে বাড়িতে রেখেছেন।

    স্থানীয়রা জানান, গত ৮ জানুয়ারী চরকলমী ইউনিয়নের ১৫৪ জন হতদরিদ্র নারীদের মাঝে ভিজিডি চাল বিরতণের তারিখ ধার্য ছিলো। ধার্য্য তারিখে কিছু চাল বিতরণ করে বাকী চাল বিতরণ করেননি সচিব। পরেরদিন কার্ডধারী হতদরিদ্ররা চাল সংগ্রহ করতে ইউনিয়ন পরিষদে গেলেও তারা চাল পাননি। সোমবার ইউনিয়ন পরিষদের পিয়ন কামাল উদ্দন ইউপি সচিব মো. ইয়ামিনের সঙ্গে আতাঁত করে সুবিধাভোগীদের প্রাপ্য চাল মৎস্য ব্যবসায়ী মাহাবুবুলের কাছে বিক্রি করেছেন এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওৎপেতে ছিলেন স্থানীয় বাসিন্ধারা। পরে ৬ বস্তা চাল রাতের আধাঁরে মাহাবুবুলের বাড়িতে নিয়ে ঘরে মজুত করার সময় সরকারী বস্তাবর্তী চালগুলো তারা আটক করেন। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি শশীভূষণ থানা পুলিশ ও ইউনিয়নের প্রশাসক এবং ও ইউপি সচিবকে জানালেও তারা ছিলেন নিরব ভুমিকায়। এনিয়ে ওই ইউনিয়নের সুবিধাভোগী কার্ডধারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃ্িষ্ট হয়েছে।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কার্ডধারী জানান, তার নামের কার্ড নিয়ে চাল আনতে দুদিন ইউনিয়ন পরিষদে গেলেও কোন চাল পাননি। তাদের প্রাপ্য চাল নিয়ে তালবাহানা করেছেন কর্মকর্তারা। প্রতিবাদ জানালে তাদের কার্ড বাতিলের হুমকি দেন।

    মৎস্য ব্যবসায়ী মাহাবুবুল জানান, তিনি চালগুলো ইউনিয়ন পরিষদের পিয়ন কামালের কাছ থেকে খরিদ করেছি। কামাল নিজেই রিক্সাযোগে চাল আমার বাড়িতে পাঠিয়েছেন। রাতে স্থানীয়রা ওই চাল আমার বসতঘর থেকে আটক করেন।

    পিয়ন কামাল উদ্দিন জানান, ভিজিডির চাল বিক্রির সঙ্গে আমি জড়িত নই। আমি চাল দেয়ার কেউ না। চালগুলো কিভাবে মৎস্য ব্যবসায়ীর বাড়িতে গেছে আমার জানা নাই।

    ইউপি সচিব মো. ইয়ামিন জানান, গত ৮ জানুয়ারী তিনি এবং ওই ইউনিয়নের তদারকি কর্মকর্তাকে নিয়ে ভিজিডির চাল বিতরণ করেছেন। সুবিধাভোগীরা না আসায় সব চাল বিতরণ করা হয়নি। তবে ওই চাল কিভাবে মৎস্য ব্যবসায়ী পেয়েছেন তা আমার জানা নাই। তবে ধারনা করা হচ্ছে ওই চালগুলো কার্ডধারীদের কাছ থেকে খরিদ করেছেন। সরকারী চাল বিক্রির নিয়ম আছে কিন এমন প্রশ্নের জাবাবে ইউপি সচিব আরোও বলেন, সরকারী চাল বেচা বিক্রির কোন নিয়ম নেই। তবে আমি ব্যস্ততার কারনে যেতে পারিনি। ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে বিস্তারিত জানতে পারবো।

    চর কলমী ইউনিয়নের প্রশাসক মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারবাইজার মো. খলিলুর রহমান জানান, কার্ড জমা নিয়েই সুবিধাভোগীদের মধ্যে চাল বিতরণ করা হয়। বিতরণ শেষে এখনও ১০ জন সুবিধাভোগী না আসায় তাদের চাল আমাদের গুদামে মুজদ রয়েছে। তবে ধারনা করা হচ্ছে ওই চালগুলো হয়তো কোন কার্ডধারী থেকে খরিদ করেছেন।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসনা শারমিনি মিথি জানান, বিষয়টি শুনে ওই ইউনিয়নের প্রশাসক ও সচিবকে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

    এফএস

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…