এইমাত্র
  • রাতে সুইজারল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পকে স্বাগত জানালেন বাইডেন
  • বেরোবির বহিষ্কৃত ৭১ শিক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ
  • কোটা ইস্যুতে আবারও আন্দোলনে চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীরা
  • ভবিষ্যতে 'সুগার মাম্মি' হতে চান অভিনেত্রী হুমায়রা সুবাহ
  • কোটা ইস্যুতে আবারো উত্তাল চট্টগ্রাম
  • উল্লাপাড়ায় আয়া ও নৈশ প্রহরী দিয়েই চলছে মাদ্রাসার ক্লাস
  • কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে সন্ত্রাসী হামলায় পাঁচজন গুরুতর আহত
  • সিরাজগঞ্জে নিখোঁজের ৩ দিন পর নদীতে মিলল মাদরাসা ছাত্রের মরদেহ
  • যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া শহিদুল ১৭ বছর পর গ্রেফতার
  • আজ সোমবার, ৭ মাঘ, ১৪৩১ | ২০ জানুয়ারি, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    পলিথিন ব্যাগ ব্যবহারে হুমকিতে মেহেরপুরের পরিবেশ

    এস এম তারেক, মেহেরপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:২৩ পিএম
    এস এম তারেক, মেহেরপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:২৩ পিএম

    পলিথিন ব্যাগ ব্যবহারে হুমকিতে মেহেরপুরের পরিবেশ

    এস এম তারেক, মেহেরপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:২৩ পিএম

    মেহেরপুরে বাজার কিংবা দোকান, সব জায়গায় হচ্ছে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার। অধিকাংশ ক্রেতার হাতেই দেখা যাচ্ছে পলিথিন ব্যাগ। এই পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে প্রশাসনের নেই জোরালো কোন উদ্যোগ। তাই এ জেলায় দিন দিন বেড়েই চলছে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার। এতে করে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ, ক্ষতি হচ্ছে কৃষিজমির।

    মেহেরপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, দোকানপাটে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য থেকে শুরু করে সবজি, মাছ, মাংস যা-ই কিনছেন, তার জন্য নিতে হচ্ছে পলিথিন ব্যাগ। যে কোনো পণ্য কিনলেই তা বহনের জন্য পলিথিন ব্যাগ ধরিয়ে দিচ্ছেন বিক্রেতারা। পলিথিন ব্যাগ ছাড়া পণ্য বহনের জন্য বিকল্প কোন ব্যবস্থা নেই বিক্রেতাদের কাছে। অথচ পলিথিনের অবাধ ব্যবহার বন্ধের মাধ্যমে কৃষি আর পরিবেশ রক্ষায় ২০০২ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধনী) আইন করা হয়। ২০০২ সালের ৯ নম্বর আইনটির সংশোধনী জাতীয় সংসদে পাসের মধ্যদিয়ে পলিথিন শপিং ব্যাগ অথবা পলিথিন বা পলিপ্রপাইলিনের তৈরি কোনো সামগ্রী, আমদানি, বিক্রি ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ। এ আইন মানা নাহলে জেল-জরিমানার বিধানও রয়েছে।

    তবে মেহেরপুর জেলায় আইন লঙ্ঘন করেই প্রশাসনের নাকের ডগায় বাজারগুলোতে বিক্রি হচ্ছে পলিথিন ব্যাগ। কার্যতক্ষেত্রে এ আইনের কোন প্রয়োগ নেই বললেই চলে।

    মেহেরপুরে জেলা শহর থেকে শুরু করে গাংনী উপজেলা, মুজিবনগর উপজেলা ও জেলার বাণিজ্যখ্যাত বামন্দী বাজারে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পলিথিন ব্যাগ তৈরি হয় রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে দেশের বড় বড় শহরগুলোতে। সেখান থেকে হাতবদল হয়ে প্রতিটি জেলা-উপজেলায় পলিথিন ব্যাগ ব্যবসায়ীদের কাছে চলে আসে। সেখান থেকে সপ্তাহের যে কোনো একদিন কয়েকজন খুচরা বিক্রেতা এসে পলিথিন ব্যাগ দিয়ে যান। দোকানে দোকানে ঘুরে বিক্রি করেন এসব ব্যাগ। ব্যবসায়ীদের তথ্যমতে মেহেরপুর জেলায় প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৪০ হাজার পলিথিন ব্যাগ বিক্রি হয়।

    শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বামন্দী বাজারের এক ক্রেতা মাসুদুল হাসান শাওন বলেন, এখন আর বাজার করতে গেলে ব্যাগ কেনা লাগে না। কিছু কেনার সময় বিক্রেতারাই পলিথিন ব্যাগে ভরে দেন। আবার অনেক মুদি দোকানি বিভিন্ন মালামাল আধা কেজি এক কেজি বা দুই কেজি করে মেপে পলিথিন ব্যাগে রেখে দেন বিক্রির সুবিধার্থে। কাগজের মোড়ক বা পাটের তৈরি কোনো ব্যাগই বাজারে নেই। পলিথিনের সহজলভ্যতার কারণে এর ব্যবহার বেড়েছে।

    আরেকজন ক্রেতা কাওছার মাহমুদ বলেন, পলিথিন ব্যবহার বন্ধে আইন থাকলেও তার বাস্তবায়ন নাই। যার কারণে পলিথিন দিন দিন বেড়েই চলেছে। খুব সহজে এটি এখন পাওয়া যায়।

    পরিবেশ নিয়ে কাজ করেন মেহেরপুর গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞানের সাবেক সহকারী অধ্যাপক এনামুল আজিম। তিনি জানান, নিষিদ্ধ এই পলিথিন একই সঙ্গে কৃষিজমি ও পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করে। এটি একটি অপচনশীল প্লাস্টিক জাতীয় পদার্থ। যা দীর্ঘদিন পর্যন্ত অপরিবর্তিত, অবিকৃত থেকে মাটি ও পানি দূষিত করে। এতে মাটির উর্বরতা শক্তি ও গুণ নষ্ট হয়ে কমে যায় ফলন। আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে এর উৎপাদন ও ব্যবহারে লাগাম টেনে ধরেছিল সরকার। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এই আইন বাস্তবায়ন যেন সংশ্লিষ্টদের কাছেই গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে।

    মেহেরপুর জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ জানান, আমরা পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার বন্ধে সবাইকে সচেতন করতে কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। কেউ পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করলে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…