এইমাত্র
  • সাইফ আলির ওপর হামলাকারী ব্যক্তি বাংলাদেশি নন: আইনজীবী
  • ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন ট্রাম্প
  • র‍্যাবকে দেখা যাবে নতুন এই রঙের পোশাকে
  • সমস্যা পোশাকে নয়, সিস্টেমে: সারজিস আলম
  • ফেসবুকে মাশরাফির মৃত্যুর গুজব!
  • রাতে সুইজারল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পকে স্বাগত জানালেন বাইডেন
  • বেরোবির বহিষ্কৃত ৭১ শিক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ
  • কোটা ইস্যুতে আবারও আন্দোলনে চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীরা
  • ভবিষ্যতে 'সুগার মাম্মি' হতে চান অভিনেত্রী হুমায়রা সুবাহ
  • আজ মঙ্গলবার, ৭ মাঘ, ১৪৩১ | ২১ জানুয়ারি, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    সীমান্তে পায়ের পিষ্টে শতাধিক বিঘার জমির ফসল নষ্ট

    মো. আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৯ পিএম
    মো. আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৯ পিএম

    সীমান্তে পায়ের পিষ্টে শতাধিক বিঘার জমির ফসল নষ্ট

    মো. আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৯ পিএম

    চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চৌকা ও কিরণগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে কিছুদিন আগে চলা উত্তেজনায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পাশে ছিল স্থানীয় মানুষ।

    তখন বিরূপ পরিস্থিতি না হলেও গতকাল শনিবার গম কাটাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এসময় শূন্যরেখার কাছে ভারতের বে-সামরিক প্রায় ৬০০ নাগরিক জড়ো হয়। এতে পায়ের চাপে পিষ্ট হয়ে জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।

    স্থানীয় কৃষক সাদ্দাম আলী বলেন, সীমান্তে শনিবারের এই ঘটনায় বিপুল ফসল নষ্ট হয়েছে বাংলাদেশিদের। ভুট্টা, পেঁয়াজ, বরই,সরিষা ও আমগাছ ফলন ধ্বংস করে দিয়েছে ভারতীয়রা।

    আরেক কৃষক ফারুক হোসেন বলেন, ‘তিনদিন ধরে খেতের পাশেই বসেছিলাম। দুপুরের দিকে ভাত খেতে বসেছি। সেই সময়ই দু-তিন 'শ লোক এখান দিয়ে হেঁটে চলে গেলো। অত্যন্ত ক্ষতি সীমান্তে পায়ের পিষ্টে ফসল নষ্ট, শতাধিক বিঘার জমির ফসল নষ্ট

    চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চৌকা ও কিরণগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে কিছুদিন আগে চলা উত্তেজনায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পাশে ছিল স্থানীয় মানুষ।

    তখন বিরূপ পরিস্থিতি না হলেও গতকাল শনিবার গম কাটাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এসময় শূন্যরেখার কাছে ভারতের বে-সামরিক প্রায় ৬০০ নাগরিক জড়ো হয়। এতে পায়ের চাপে পিষ্ট হয়ে জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।

    স্থানীয় কৃষক সাদ্দাম আলী বলেন, সীমান্তে শনিবারের এই ঘটনায় বিপুল ফসল নষ্ট হয়েছে বাংলাদেশিদের। ভুট্টা, পেঁয়াজ, বরই,সরিষা ও আমগাছ ফলন ধ্বংস করে দিয়েছে ভারতীয়রা।

    আরেক কৃষক ফারুক হোসেন বলেন, ‘তিনদিন ধরে খেতের পাশেই বসেছিলাম। দুপুরের দিকে ভাত খেতে বসেছি। সেই সময়ই দু-তিন 'শ লোক এখান দিয়ে হেঁটে চলে গেলো। অত্যন্ত ক্ষতি হয়েছে আমার খেতের। আমার ভুট্টা খুঁচে শেষ করে দিয়েছে। এখন সেচ দিয়ে চেষ্টা করছি বাঁচানোর।’

    স্থানী কৃষক মোঃ রাসেল আলী বলেন, ‘সীমান্তে উত্তেজনার সময় প্রচুর লোক সমাগম হয়। এখানে রাস্তা সেরকম নেই। সেজন্য মানুষের ভিড় আসে কৃষকের জমিতে। এতে জমির অর্ধেক ফসলই নষ্ট হয়ে গেছে।

    আরেক কৃষক আব্দুল হালিম বলেন, ‘সীমান্তে মানুষের সমাগম কমাতে বিজিবি একবার তাড়া দেয়। ওই সময় আমার খেত দিয়ে হাজার হাজার মানুষ দৌড় দেয়। এতে অনেক টমেটো নষ্ট হয়ে গেছে। এখন তো কিছু করার নেই।’

    স্থানীয় আরেক কৃষক ইসারুল ইসলাম বলেন,আমার জমিতে ভুট্টা ও সরিষা ছিলো। গতকালকের ঘটনায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমার দেড় বিঘার মতো ফসল ছিলো। তাছাড়া ওই এলাকায় ১ শত বিঘার উপরের জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।

    শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন মিয়া বলেন, ‘সীমান্তে উত্তেজনার সময় প্রচুর উৎসুক জনতার জনসমাগম ঘটে। ওই সময় মাঠগুলোতে সরিষা, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন ফসল ছিল। এতে সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা নিরুপন করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাবো এবং তাঁরা যেভাবে বলবেন সেই অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব।’

    তিনি আরও বলেন,শিবগঞ্জের ওই সীমান্তে ৫০০ হেক্টরের বেশি জমিতে কৃষিকাজ করে চৌকা সীমান্তের এলাকার মানুষ।

    মহানন্দা ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল গোলাম কিবরিয়া বলেন,যখন আমি অধিনায়ক পর্যায়ে গতকালকে পতাকা বৈঠক করি। তখন বিএসএফের কাছে দুটি রিকোয়েস্ট করেছিলাম। ভারতীয় জনগণকে সীমান্ত রেখা থেকে সরিয়ে নেয়ার জন্য। আরেকটি শূন্য লাইনে বিএসএফের অতিরিক্ত মোতায়েনকৃত সদস্য সরিয়ে নিতে। তারা আমার অনুরোধে ৫ মিনিটের মধ্যে ভারতীয় নাগরিক ও বিএসএফ শুনেছে।

    কিন্তু আমি , মেম্বার ও চেয়ারম্যানসহ বাংলাদেশের নাগরিকদের সীমান্ত থেকে সরে যেতে বলেছে।যাতে করে মানুষের ফসল যেন নষ্ট না হয়।সেটা তারা শুনেছে। কিন্তু ২ ঘণ্টা সময় লেগেছে।

    বিজিবির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা হলেই এই এলাকার কৃষকদের ক্ষতি হয়। এ এলাকায় উত্তেজনা প্রশমিত করার জন্য এলাকায় এলাকায় গিয়ে মতবিনিময় সভা করছি। সীমান্তে বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সীমান্তে টহল জোরদার রয়েছে। এমআর আমার খেতের। আমার ভুট্টা খুঁচে শেষ করে দিয়েছে। এখন সেচ দিয়ে চেষ্টা করছি বাঁচানোর।’

    স্থানী কৃষক মোঃ রাসেল আলী বলেন, ‘সীমান্তে উত্তেজনার সময় প্রচুর লোক সমাগম হয়। এখানে রাস্তা সেরকম নেই। সেজন্য মানুষের ভিড় আসে কৃষকের জমিতে। এতে জমির অর্ধেক ফসলই নষ্ট হয়ে গেছে।

    আরেক কৃষক আব্দুল হালিম বলেন, ‘সীমান্তে মানুষের সমাগম কমাতে বিজিবি একবার তাড়া দেয়। ওই সময় আমার খেত দিয়ে হাজার হাজার মানুষ দৌড় দেয়। এতে অনেক টমেটো নষ্ট হয়ে গেছে। এখন তো কিছু করার নেই।’

    স্থানীয় আরেক কৃষক ইসারুল ইসলাম বলেন,আমার জমিতে ভুট্টা ও সরিষা ছিলো। গতকালকের ঘটনায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমার দেড় বিঘার মতো ফসল ছিলো। তাছাড়া ওই এলাকায় ১ শত বিঘার উপরের জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।

    শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন মিয়া বলেন, ‘সীমান্তে উত্তেজনার সময় প্রচুর উৎসুক জনতার জনসমাগম ঘটে। ওই সময় মাঠগুলোতে সরিষা, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন ফসল ছিল। এতে সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা নিরুপন করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাবো এবং তাঁরা যেভাবে বলবেন সেই অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব।’

    তিনি আরও বলেন,শিবগঞ্জের ওই সীমান্তে ৫০০ হেক্টরের বেশি জমিতে কৃষিকাজ করে চৌকা সীমান্তের এলাকার মানুষ।

    মহানন্দা ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল গোলাম কিবরিয়া বলেন,যখন আমি অধিনায়ক পর্যায়ে গতকালকে পতাকা বৈঠক করি। তখন বিএসএফের কাছে দুটি রিকোয়েস্ট করেছিলাম। ভারতীয় জনগণকে সীমান্ত রেখা থেকে সরিয়ে নেয়ার জন্য। আরেকটি শূন্য লাইনে বিএসএফের অতিরিক্ত মোতায়েনকৃত সদস্য সরিয়ে নিতে। তারা আমার অনুরোধে ৫ মিনিটের মধ্যে ভারতীয় নাগরিক ও বিএসএফ শুনেছে। কিন্তু আমি , মেম্বার ও চেয়ারম্যানসহ বাংলাদেশের নাগরিকদের সীমান্ত থেকে সরে যেতে বলেছে।যাতে করে মানুষের ফসল যেন নষ্ট না হয়।সেটা তারা শুনেছে। কিন্তু ২ ঘণ্টা সময় লেগেছে।

    বিজিবির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা হলেই এই এলাকার কৃষকদের ক্ষতি হয়। এ এলাকায় উত্তেজনা প্রশমিত করার জন্য এলাকায় এলাকায় গিয়ে মতবিনিময় সভা করছি। সীমান্তে বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সীমান্তে টহল জোরদার রয়েছে।

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…