ঢাকা থেকে দাদা বাড়ি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মধ্য হোসনাবাদ গ্রামে বেড়াতে এসে নিখোঁজের একদিন পর শিশু সাফওয়ানের (৫) রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ ২জনকে আটক করেছে। উত্তেজিত এলাকাবাসী আটককৃতদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে। ঘটনাটি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মধ্য হোসনাবাদ গ্রামের। নিহত সাফওয়ান ওই গ্রামের ইমরান শিকদারের ছেলে। খবরপেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ভোর ৬টার দিকে স্থানীয় মান্না বেপারীর বিল্ডিংয়ের পিছনের একটি জমির মধ্যে শিশু সাফওয়ানের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া জানান, নিহত শিশুর লাশের ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ওসি আরও জানান, স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে একই বাড়ির লোকমান চৌধুরীর বসত ঘরে তল্লাশী চালিয়ে হত্যার বেশকিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লোকমান চৌধুরীর ছেলে রুমান চৌধুরী ও সরিকল ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য মোজাম্মেল হক চৌধুরীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
নিহত শিশুর দাদা বারেক সিকদার বলেন, প্রতিবেশি লোকমান চৌধুরীর সাথে জমির সীমানা নিয়ে তার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বুধবার দুপুরে লোকমানের ছেলে রুমানকে আমার নাতির সাথে কথা বলতে দেখেছে স্থানীয়রা।
আটককৃত ইউপি সদস্য মোজাম্মেল বলেন, বিনাকারণে তাকে এলাকার কতিপয় ব্যক্তি মারধর করে গুরুত্বর আহত করেছে। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ শিশু সাফওয়ান হত্যাকাণ্ডের সাথে ইউপি সদস্যর সরাসরি যোগ সূত্রের আলামত রয়েছে।
শিশু সাফওয়ানের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধারের পর থেকে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আটককৃত ইউপি সদস্যকে সেনা ও র্যাবের সহায়তায় থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এলাকাবাসী হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারপূর্বক ফাঁসির দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভ করেছেন।
এইচএ