ঢাকার ধামরাইয়ের সীতি পাল্লি এলাকায় মাহি এন্টারপ্রাইজের (মাহি ব্রিকস) সকল কাগজপত্র মেয়াদোত্তীর্ণ থাকার কারণে গত ৮ জানুয়ারি অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন। এছাড়া ভাটার মালিককে নগদ ৫ লাখ টাকা জরিমানা করে অভিযানিক দলটি। পরবর্তীতে ভাটার সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়ে মাহি ব্রিকস এর মেইন গেটে একটি নোটিশ সাটিয়ে দেয় ঢাকা জেলা প্রশাসক।
তবে নোটিশ তোয়াক্কা না করে ভাটা কর্তৃপক্ষ ইট তৈরির সব কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। কোনো বৈধ কাগজপত্র না থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কীভাবে নিয়মিত ভাটার কার্যক্রম পরিচালনা করছে সেই প্রশ্নই এখন স্থানীয় সচেতন মহলের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রকাশ্য দিবালোকে ওই ইটভাটায় কাটা ইট তৈরি করা হচ্ছে। কেউ কেউ কয়লা ভাঙিয়ে চুল্লিতে দিচ্ছে, আবার কেউ মাটি মিক্সার করছে। এ যেন বৈধ উপায়ে অবৈধ ইট তৈরির মহা উৎসব।
ভাটার দায়িত্বে থাকা লোকজন (কর্তৃপক্ষ) এ বিষয়ে জানায়, সকল ভাটার ন্যায় সমিতির মাধ্যমে ইটভাটার কার্যক্রম পরিচালনা করতেছে। সকল কাগজপত্র ঠিক করার কাজও শুরু করে দিয়েছে মালিকপক্ষ।
ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি জালাল কোম্পানী বলেন, মাহি এন্টারপ্রাইজ (মাহি ব্রিকস) সমিতিতে থাকলেও সমিতির কাছে কোন সহযোগিতা চায়নি। ফোন দিলে রিসিভ করেনা। আর ওই ভাটার মালিককে ২০ বার ফোন দিয়েছি সে রিসিভ করে না।
স্থানীয় লোকজন জানায়, জনবসতি এলাকায় (আবাসিক এলাকা) কীভাবে ইটভাটা চালিয়ে আসছে এটা আমাদের বোধগম্য না। আশেপাশে অসংখ্য বাড়িঘর রয়েছে, স্কুল রয়েছে, তাছাড়া এই ইটভাটার কারণে আমাদের তিন ফসলি জমির মাটি কেটে বিলিন করে দিচ্ছে। প্রশাসন বন্ধ করে দিয়েছে এজন্য প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু বন্ধ করার পরও কীভাবে এই ভাটার কার্যক্রম পরিচালনা করে এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের নজর রাখা দরকার।
এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।