চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার দলদলী ইউনিয়নের গরীব অসহায় হতদরিদ্রদের মাঝে বরাদ্দকৃত ঈদুল ফিতরের উপহার (ভিজিএফ) চাল নানা অনিয়মের মধ্যে দিয়ে বিতরন করা হয়েছে।
রবিবার (১৬ মার্চ) দরিদ্রদের জন্য ভিজিএফের ২ হাজার ৮১৬ টি কার্ডের চাল বিতরণ করা হয়।
ভিজিএফের চাল বিতরণকালে বিক্রির অভিযোগ করে স্থানীয়রা। স্থানীয়দের অভিযোগ ভিজিএফ এর কার্ড ব্যাবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেয় মেম্বার চেয়ারম্যান। বিতরণের দিন ব্যবসায়ীদের লোকজন চাল তুলে নিয়ে যায়। মেম্বার চেয়ারম্যানরা অনেককে একাধিক কার্ড দেয়, তারা চাল নিয়ে এসে ব্যবসায়িদের কাছে বিক্রি করে।
সরেজমিনে গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ব্যবসায়ীদের চালের বস্তা মাথায় করে নিয়ে আসতে দেখা যায়। ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী বাড়ির গোয়াল ঘরে ৩৫ বস্তা চাল দেখা যায়। তাঁরা বলেন, আমরা যেগুলো কার্ড কিনে নিয়েছি সেগুলো কার্ড দিয়ে চাল নিয়ে আসলাম। বাড়ির গৃহিনী বলেন, এগুলো ব্যাবসায়ীরা কিনে বস্তা করে রেখেছে। পাশের দুলালের বাড়িতে চাল থাকার খবর পেয়ে গেছে দুলাল বাড়ির বাইরে এসে বলে বলে আমি ১২ মন চাল কিনেছিলাম। ভোলাহাটের এক ব্যবসায়ীর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। কিন্তু তাঁর বাড়িতে প্রবেশ করে আরো ১৫ বস্তা দেখতে পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, সবাই ২ টা ৩ টা করে কার্ড বিক্রি করেছে আমার কাছে, আমি কার্ড নিয়ে চাল নিয়ে এসেছি।
রকিয়া নামের স্থানীয় এক মহিলা বলেন, আমি কার্ড পাইনি, তাও চাল নিতে এসেছিলাম। এসে দেখি ৩-৪ বস্তা চাল আছে। যারা চাল কিনে নিচ্ছে তাদের বলছে দৌড়িয়ে নিয়ে যা।
আরেকজন মহিলা বলেন, ৪-৫ টা করে কার্ড দিচ্ছে, চাল নিয়ে এসে বিক্রি করে দিচ্ছে। আমাকে একটাও কার্ড দেইনি। বসে থেকে থেকে আমাকে ৫ কেজি চাল দিয়েছে।
দলদলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হক চুটু বলেন, আমরা তো কার্ড বিতরণ করে দিচ্ছি। চাল নিয়ে বাইরে বিক্রি করে দিলে আমাদের তো কিছু করার নাই।
চাল বিতরণের দায়িত্বরত সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু আহমেদ অহেদুজ্জামান বলেন, পাশের বাড়িতে থাকা চালগুলো ব্যবসায়ীদের ক্রয় করা চাল। জনপ্রতিনিধিরা যাদের কার্ড দিয়েছে তাঁরা চাল নিয়ে বিক্রি করে দিয়েছে। একজন ব্যক্তি একাধিক কার্ডের চাল নেওয়ার কোনো নিয়ম নাই। আমি সাড়ে তিনটা পর্যন্ত ছিলাম, ইউনিয়ন পরিষদের ভিতর থেকে ব্যবসায়ীদের নিয়ে যেতে দেখিনি।
এনআই